ইউরোপের পাট চুকিয়ে মেজর সকার লিগে শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছে লিওনেল মেসির। ইন্টার মায়ামির জার্সিতে খেললেন ১১৮ মিনিট। এই সময়ে গোল করেছেন ৩টি এবং করিয়েছেন ১টি।
গত ২১ জুলাই অভিষেক ম্যাচে ফ্রিকিক থেকে চোখ ধাঁধানো শটে গোল করে শেষ মুহূর্তে দলকে আরাধ্য জয় এনে দিয়েছিলেন। এরপর সর্বশেষ গতকাল (বৃহস্পতিবার) আটলান্টা ইউনাইটেডের বিপক্ষে দলের ত্রাতা ছিলেন মেসি। জোড়া গোলে দলকে বড় জয় উপহার দিয়েছেন। অথচ কে বলবে, এই মায়ামিই টানা ১১ ম্যাচ হারের বৃত্তে ছিল। আর্জেন্টাইন জাদুকরের ছোঁয়ায় মুহূর্তেই যেন বদলে গেছে সব।
দুর্দান্ত শুরু করা মেসিকে নিয়ে তুমুল হইচই চলছে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। মেসির ম্যাচের টিকিটের দাম বাড়ছে হুহু করে। তবে এ মুহূর্তে সবচেয়ে কঠিন বিষয়গুলোর একটি হচ্ছে মেসির ইন্টার মায়ামির আসল (অথেনটিক ভার্সন) জার্সি হাতে পাওয়া। জানা গেছে, ইন্টার মায়ামির ‘দ্য হার্টবিট কিট’ নামে পরিচিত হোম জার্সি বাজারে আসার পর মুহূর্তের মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে।
মেসির ১০ নম্বর জার্সির আসলটার দাম ১৬০ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ১৭ হাজার ৩৫৭ টাকা। এছাড়া রেপ্লিকার দাম ১২৫ ডলার (১৩ হাজার ৫৬০ টাকা) ও জার্সির ইয়ং ভার্সনের দাম ১০৪ ডলার (১১ হাজার ২৮২ টাকা)। এমএলএস স্টোরে অর্ডার করলেই এই জার্সি পাওয়া যাওয়ার কথা। তবে আর্জেন্টাইন তারকার জার্সির চাহিদা এতই বেশি যে, তা দ্রুত শেষ হয়ে গেছে।
চাহিদার সঙ্গে জার্সির জোগান দিতে হিমশিম খাচ্ছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অ্যাডিডাস। সাধারণত জার্সি অর্ডারের পর সেটি বাজারে আনতে ছয় মাসের মতো সময় লাগে। অ্যাডিডাস চেষ্টা করছে যত দ্রুত সম্ভব জার্সি বাজারে আনার, এরপরও এটি অক্টোবরের আগে সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে তারা। এর আগে গত জুনে মেসি ইন্টার মায়ামিতে আসার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই ক্লাবটির জার্সি বিক্রি ধুম পড়ে। সে সময় ইন্টার মায়ামির ছয় মাসের জার্সি বিক্রি হয়ে গিয়েছিল এক দিনেই।
অ্যাডিডাসের এক মুখপাত্র এ ব্যাপারে বলেন, ‘যেসব ভক্ত সমর্থকেরা জার্সি চাইছেন, তাদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জার্সি দেওয়ার চেষ্টা করছি। যেন তারা অনলাইনে অথবা আমাদের স্টোর থেকে নিতে পারেন।’
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন