অকাস চুক্তিতে নিউডিল্যান্ডকে চায় যুক্তরাষ্ট্র

এইউকেইউএস বা অকাস প্রতিরক্ষা চুক্তিতে নিউজিল্যান্ডকেও নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। আর এর মাধ্যমে এই চুক্তির পরিধি বাড়াতে চায় দেশটি। মূলত অকাস হলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে একটি প্রতিরক্ষা চুক্তি।

নিউজিল্যান্ডে গিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, ওয়েলিংটনের জন্যও অকাসের দরজা খোলা আছে। অন্যরাও চাইলে এতে শামিল হতে পারে।

ব্লিংকেন বলেছেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছি। আমরা অকাস তৈরি করেছি। সেখানে নিউজিল্যান্ডের জন্যও দরজা খোলা।’

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হপকিন্স বুধবার বলেছেন, ‘অকাস নিয়ে আমরা আলোচনার দরজা খুলে রেখেছি।

অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার বলেছেন, ‘নিউজিল্যান্ড পরমাণু-মুক্ত বিশ্ব চায়। আমরা আমাদের এই অবস্থান বদলাব না। আমরা পরমাণু সাবমেরিন-মুক্ত প্রশান্ত মহাসাগর চাই।’

অকাস চুক্তি কী?
অকাস হলো ২০৩০-এর দশকের শেষে বা ২০৪০-এর দশকের গোড়ার দিকে যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়ার নতুন উচ্চপ্রযুক্তির সাবমেরিন তৈরি ও মোতায়েনের পরিকল্পনা। এই উন্নত প্রযুক্তি দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

এই চুক্তি অনুসারে ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবমেরিন অস্ট্রেলিয়ায় মোতায়েন করা হবে। অস্ট্রেলিয়ার নৌবাহিনীর কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডই হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান বন্ধু দেশ। কিন্তু অকাস নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সামনে একটা চ্যালেঞ্জ আছে। তারা বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে চীনের ওপর খুব বেশি করে নির্ভরশীল।

সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বেইজিং সফর করেছেন। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার কথা বলা হয়েছে।

চীন মনে করে- প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ভারসাম্য ব্যহত করতে অকাস চুক্তি করা হয়েছে। অর্থাৎ, অকাসের লক্ষ্য হলো চীনের প্রভাব খর্ব করা। সেখানে নিউজিল্যান্ড যোগ দিলে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে দেশটির।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন