বহু প্রতীক্ষা ও প্রস্তুতি শেষে জুনের প্রথম সপ্তাহে রাশিয়ার সেনাদের বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেনের সেনারা। তবে এক সপ্তাহ পরই সেই আক্রমণের গতি ধীর হয়ে আসে। এরপর দুই মাস ধরে এই পাল্টা আক্রমণ মূলত থমকেই ছিল।
তবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইউক্রেন আবার নতুন করে হামলা চালানো শুরু করেছে। দক্ষিণ দিকের দখলকৃত অঞ্চল থেকে রাশিয়ার সেনাদের হটিয়ে দিতে জাপোরিঝিয়ায় গেছে ইউক্রেনের কয়েক হাজার সেনা। যাদের সবাই পশ্চিমা ও আধুনিক অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত।
ধারণা করা হচ্ছে, ওই দিকে রুশ বাহিনীর দুর্বলতা খুঁজে পেয়েছেন ইউক্রেনীয় কমান্ডাররা। যেসব সেনাকে দক্ষিণের দিকে পাঠানো হয়েছে তাদের পাল্টা আক্রমণের জন্যই বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, এই পাল্টা আক্রমণে কিছু সাফল্য পেয়েছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তারা দক্ষিণপূর্ব দিকে রুশ বাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেদ করতে সমর্থ হয়েছে।
জাপোরিঝিয়ায় রাশিয়ার নিযুক্ত সামরিক কর্মকর্তা ভ্লাদিমির রোগোভ জানিয়েছেন, জাপোরিঝিয়ায় ইউক্রেনীয় সেনারা, রুশ সেনাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রথম ধাপের অন্তত তিন দিকে এগোতে সমর্থ হয়েছে।
তিনি বলেছেন, ‘জাপোরিঝিয়া সম্মুখভাগে ইউক্রেনের সেনাদের পাল্টা আক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়েছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী ১০০টিরও বেশি সাঁজোয়া যান নিয়ে কয়েক দফায় হামলা করেছে। এতে তারা আমাদের প্রতিরোধ ভেদ করতে সমর্থ হয়েছে। সেখানে তুমুল লড়াই হচ্ছে।’
রুশ এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইউক্রেনীয়দের অগ্রসর ঠেকাতে বিমানসহ সব ধরনের শক্তি ব্যবহার করছেন তারা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) জানিয়েছেন গত কয়েকদিনে ইউক্রেনীয় সেনাদের হামলার তীব্রতা বেড়েছে। তবে তিনি দাবি করেছেন, রুশ সেনারা ইউক্রেনীয়দের পিছু হটাতে বাধ্য করেছে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন