সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা চলমান বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা হবে কি না- জানতে চাইলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আমরা ব্রিটিশ সরকারের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করেছি এবং আলাপ আলোচনা চলমান রয়েছে।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৯ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানকে ৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, যে মামলায় তারেক রহমানের ৯ বছর ও জোবায়দা রহমানের ৩ বছরের সাজা হয়েছে, সে মামলা কিন্তু আমাদের সরকার দায়ের করেনি। এ মামলা করেছে ২০০৭ সালে তাদের পছন্দের তত্ত্বাবধায়ক সরকার।
তিনি বলেন, তাদের পছন্দের মানুষরা যখন ক্ষমতায় তখন এই মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলায় শাস্তি হয়েছে। আমাদের সরকার যদি প্রতিহিংসাপরায়ণ হতো তাহলে আমরাই মামলা করতাম। আর মামলার রায় হওয়ার জন্য ১৪ বছর অপেক্ষা করতে হতো না। অনেক আগেই মামলার রায় হতো।
কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে বিভিন্ন কথা বলা হচ্ছে, আসলে আইন আদালত কোনোকিছুর ওপর তাদের (বিএনপি) আস্থা নেই এবং কোনো কিছুকে তোয়াক্কা করে না। শুধু ক্ষণে ক্ষণে বিদেশিদের কাছে যায়। আমরা বিদেশিদের কাছে যাই না বরং বিদেশিরা আমাদের কাছে আসে, বলেন ড. হাছান।
সম্প্রতি তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার নিয়ে আদালত একটি রায় দিয়েছেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ রায় আগেও ছিলো। তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য পত্র-পত্রিকায় বা টেলিভিশনে প্রচার করা যাবে না। মেইনস্ট্রিমের কোনো পত্রিকা বা মিডিয়া তারেক রহমানের কোনো বক্তব্য প্রচার করে না। কিন্তু মাঝে-মধ্যে কেউ কেউ ভুল করে করে। সোশ্যাল মিডিয়া, ইউটিউব চ্যানেলে হয়। আমি মনে করি এগুলো হচ্ছে বলে আদালত আবার সাপ্লিমেন্টারি রায় দিয়েছেন। কেউ যদি এর ব্যত্যয় ঘটায় তাহলে আদালত অবমাননা হবে। আদালত অবমাননা হলে আদালত সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেবেন।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন