বান্দরবান সদরে অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধসে একই পরিবারের মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। এদিকে বান্দরবান-থানচি সড়কের ১২ মাইল এলাকায় পাহাড় ধসে সড়কে গাছ পড়ে শহর থেকে রুমা-থানচি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সোমবার (৭ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবান সদরের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার অজিত দাস বলেন, গতকাল দুপুরে পাহাড় ধসে বান্দরবান সদরে একই পরিবারের মা-মেয়ে নিহত হয়েছেন। তারা পৌরসভার কালাঘাটা গোধার পাড় এলাকার বাশি শীলের স্ত্রী ও মেয়ে বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় বান্দরবান সদর, রুমা, আলীকদমসহ জেলার বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় যোগাযোগব্যবস্থা অচল হয়ে পড়েছে।
আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, মাতামুহুরী নদীর পানিতে চৈক্ষ্যং ইউপি পরিষদ এলাকার সড়ক প্লাবিত হয়ে আলীকদমে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
বান্দরবান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর বলেন, বান্দরবান শহরের অর্ধেক অংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। বান্দরবানের আশপাশের এলাকা যেমন: ক্যামলং, মাঘমারা, বালাঘাটা, ক্যচিংঘাটা, তংপ্রু পাড়া, ধোপাছড়াসহ অনেক এলাকার জনসাধারণ এখন পানির দুর্ভোগের মধ্যে আছে।
দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রশাসন থেকে ১৯২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। তবে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ থাকায় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে মোট কতজন আশ্রয় নিয়েছেন তা জানা যায়নি। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন