নির্বাচন ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ওপর অর্থনৈতিক ও ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র।
এবার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত ও সাধারণ মানুষকে শোষণ-নিপীড়ন ও ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগে ইউরোপের দেশ বেলারুশের কয়েকজন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, তিন বছর আগে বেলারুশে একটি ভুয়া ও একপক্ষীয় নির্বাচন হয়। এই নির্বাচনের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে এবং ‘প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর অভ্যন্তরীণ নিপীড়নে এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধে সহায়তা করার অভিযোগে আটজন ব্যক্তি ও পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।’
অপরদিকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার অভিযোগে ১০১ জনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার ব্যাপারে মার্কিন দপ্তর বলেছে, ‘বেলারুশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে বাধা ও অবমূল্যায়ন করায় আমরা ১০১ জনের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি, যার মধ্যে রয়েছেন কয়েকজন বিচারকও। যারা স্বাধীনতা চর্চা করার চেষ্টা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত রায় দিয়েছেন এসব বিচারক।’
বিবৃতিতে লুকাশেঙ্কোকে বেলারুশের অবৈধ শাসক হিসেবেও উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে জেলে আটক ১ হাজার ৫০০ জনকে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
তারা দাবি করেছে, লুকাশেঙ্কোর অবৈধ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে সাধারণ নাগরিকদের ওপর দমন-নিপীড়ন চালানো হচ্ছে, তাদের আটক করা হচ্ছে এবং ভুয়া বিচারের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হচ্ছে।
বিবৃতির শেষে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বেলারুশের সাধারণ মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পাওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র তার সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন