ঢাকায় কংগ্রেসম্যান ম্যাকরমিক, ভোরে আসবেন কেইস

মা‌র্কিন যুক্তরা‌ষ্ট্রের জর্জিয়া থেকে নির্বাচিত রিপাবলিকান পার্টির কংগ্রেস সদস্য রিচার্ড ম্যাকরমিক শনিবার (১২ আগস্ট) ঢাকায় পৌঁছেছেন। আর ডেমোক্র্যাট পার্টির কংগ্রেস সদস্য এড কেইস রোববার (১৩ আগস্ট) ভোরে ঢাকায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। কূট‌নৈ‌তিক সূ‌ত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, রোববার ঢাকায় ব্যস্ত সময় কাটাবেন ম্যাকরিম ও কেইস। এদিন সকালে ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে যাবেন দুই কংগ্রেস সদস্য। এরপর তারা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন। পরে তারা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের পাশাপাশি বৈঠক করবেন। এদিন বিকেলে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের গুলশানের বাসায় রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তারা।

ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, দুই কংগ্রেসম্যান আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির নেতা‌দের স‌ঙ্গে বস‌বেন। নির্বাচনসহ বাংলা‌দে‌শের সা‌র্বিক রাজ‌নৈ‌তিক প‌রি‌স্থি‌তি জান‌তে চাই‌বেন তারা। এছাড়া নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন দুই কংগ্রেসম্যান।

দুই কংগ্রেম্যানের সফরে আলোচনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, তাদের সফরটা স্টেট ডিপার্টমেন্ট থেকে হচ্ছে। আমাদের বলা হয়েছে, তারা রোহিঙ্গা ইস্যুতে আলোচনা করবেন। এ ইস্যুতে তারা কোন বিষয়গুলো তুলে ধরে সেটার ওপর নির্ভর করছে, আমরা আমাদের অবস্থান কীভাবে উপস্থাপন করব।

রাজনৈতক দলগুলোর সঙ্গে দুই কংগ্রেসম্যানের বৈঠক প্রসঙ্গে জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, তাদের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে আমাদের জানানো হয়নি। তবে আমরা মিডিয়াতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে খবর দেখেছি।

জানা গেছে, সোমবার (১৪ আগস্ট) কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন দুই কংগ্রেম্যান। তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলবেন, পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা রয়েছে ম্যাকরিম-কেইসের।

মার্কিন দুই কং‌গ্রেসম্যানের বাংলা‌দেশ সফর নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের ৫০ বছর পূর্তি উৎসবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন খুব আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক শক্তিশালী করতে চান। সে কারণে একের পর এক মার্কিন সিনিয়র কর্মকর্তারা এসেছেন, আমরা তাদের স্বাগত জানিয়েছি। তারা স্বেচ্ছায় এসেছেন, আমরাও খুব খুশি।

মোমেন ব‌লেন, দু’জন আসছেন মূলত রোহিঙ্গাদের বিষয়টি দেখার জন্য। রোহিঙ্গাদের আগে ১২ ডলার সহায়তা দেওয়া হতো এখন কমিয়ে আট ডলার করা হয়েছে। আর রোহিঙ্গা ইস্যুতে সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। দুই কংগ্রেসম্যান একটি অনুমোদন কমিটির সদস্য, তারাই টাকা অনুমোদন করেন। এখন এসে দেখবেন, আরও অর্থের দরকার আছে কী না বা বাড়ানোর প্রয়োজন কী না।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন