এক লিওনেল মেসিতেই যেন আটকে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল অঙ্গন। মেসি আসার পর একটা টুর্নামেন্টই মাঠে গড়িয়েছে তাতে সবরকম পুরস্কার নিজের ঝুলিতেই পুরেছেন এই আর্জেন্টাইন। ছত্রিশের ‘বুড়ো’ মেসি যে ফুরিয়ে যাবার নন তেমন একটা বার্তাই বোধহয় দিয়ে রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রকে। আর এমন এক মেসিকে সমীহ না করেও উপায় নেই প্রতিপক্ষ কোচের।
মেসির পরের ম্যাচ বাংলাদেশ সময় আগামীকাল বৃহস্পতিবার ভোরে। প্রতিপক্ষ এফসি সিনসিনাটি। ম্যাচের আগে তাদের কোচ প্যাট নোনানও যেন কিছুটা হালই ছেড়ে দিলেন মেসি ইস্যুতে। সহজ উত্তরে জানালেন, মেসিকে আটকানোর চিন্তা নিছকই বোকামি।
ভৌগলিক বিচারে ইস্টার্ন কনফারেন্সের ক্লাব সিনসিনাটি। আছে নিজেদের লিগে শীর্ষে। শুধু তাইই নয়, পুরো যুক্তরাষ্ট্রের লিগেই শীর্ষ দল তারা। কিন্তু, লিগের সেরা দলটির কাছেও নেই মেসিকে আটকানোর মন্ত্র, ‘মেসির ক্ষেত্রে বাস্তবতা হচ্ছে, গত দুই দশক ধরে সর্বোচ্চ স্তরের ফুটবলে খুব বেশি ক্ষেত্রে এটা করা সম্ভব হয়নি। আর যদি আশা করা হয় যে এর উত্তর আমাদের কাছে থাকবে, তবে সেটা বোকামি। সে এখনো শীর্ষ স্তরের ফুটবল খেলছে এবং বিশ্বকাপ জিতে এসে আরও উজ্জীবিত।’
২০২১ সালের পর থেকে মায়ামির কাছে হারতে হয়নি সিনসিনাটিকে। গত এপ্রিলেও দুইদলের শেষ দেখায় বিজয়ী ছিল সিনসিনাটি। তবে, এবারের ইন্টার মায়ামি যেন অন্য ধাতুতে গড়া এক দল। মেসির আগমন রাতারাতি বদলে দিয়েছে ক্লাবটিকে। সেইসঙ্গে মেসির সাবেক বার্সা সতীর্থদের আগমনে কাজটা আরও কঠিন হয়েছে তার জন্য, ‘এটা খুবই কঠিন পরীক্ষা হবে। কেউ কেউ এ মত দিচ্ছে যে, বুসকেতসকে মার্ক করে এবং তার খেলা আটকে দিয়ে কি পারা সম্ভব? ঠিক আছে, কিন্তু তখন অন্য খেলোয়াড়েরা বেশি জায়গা পাবে এবং তারা আপনার ক্ষতি করতে পারে। সবাই চেষ্টা করছে খুবই ভালো এই দলটিকে আটকানোর উপায় খুঁজে বের করতে এবং কেউই সেটা করতে পারছে না।’
শুধু মেসি বা বুসকেতস না, প্যাট নোনানের চিন্তায় আছে পুরো ইন্টার মায়ামি, ‘মেসি আসার আগে তারা ১১টি লিগ ম্যাচে জিততে পারেনি। আর এখন তারা একটি ম্যাচেও হারেনি। এর একটি কারণ দলে বিশ্বসেরা খেলোয়াড় বা বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়দের একজন থাকা। এর ফলে পেশাদারত্ব থেকে মাঠের খেলার গুণগত মানসহ সবকিছুতে পরিবর্তন এসেছে।’
মেসি এবং তার সতীর্থরা নিজের উপস্থিতি দিয়ে তার আশপাশের খেলোয়াড়দের উন্নতি ঘটিয়েছেন এমনটাই বিশ্বাস করেন এই মার্কিন কোচ, ‘সে (মেসি) তাঁর আশপাশে থাকা খেলোয়াড়দেরও আরও ভালো খেলোয়াড়ে পরিণত করেছে। আপনি টেইলরের দিকে তাকান। হঠাৎ করেই এই খেলোয়াড়েরা ভিন্ন এক আত্মবিশ্বাসী ফুটবল খেলছে এবং এখন তাদের সেরা ফুটবলটাই দেখা যাচ্ছে। এটা শুধু মেসির জন্য হচ্ছে, এমন নয়। বুসকেতস এবং আলবাদের মানও এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। সঙ্গে টাটা মার্তিনোও আছেন। যিনি শুধু আন্তর্জাতিকভাবেই জিততে অভিজ্ঞ নন, আমাদের লিগেও জিতেছেন।’
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন