দেশের প্রবীণ আইনজীবী, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনশাস্ত্রের বাতিঘর ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের ইন্তেকালে গভীর শোক ও দু:খ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
শনিবার (২৪ অক্টোবর) গণমাধ্যমে প্রেরিত এক শোকবার্তায় নেতৃদ্বয় মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন, ওয়ান ইলেভেনের সময় আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার পক্ষে মামলা পরিচালনা করে ব্যাপক আলোচিত ছিলেন এ মানুষটি।
তারা বলেন, আইন পেশায় অর্ধশতাব্দীর বেশি সময় কাটানোর পর ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের সামাজিক পরিচয় আইনের প্রাজ্ঞ বিচারক হিসেবে। তিনি একজন মানবতাবাদী আইনজীবী অভিধায়ও বিশেষ খ্যাতি লাভ করেছেন। বাংলাদেশের অন্যতম বিখ্যাত এই মানুষটির সবকিছু ছাপিয়ে তাঁর মানবিক ও সেবা-মনোভাবের অসামান্য গুণটি সামনে চলে আসে। তিনি তাঁর জীবনের আয়ের সিংহভাগ ব্যয় করেছেন মানুষের কল্যাণে। তাঁর কাজ ও ভাবনায় একটি সমৃদ্ধ ও স্নিগ্ধ রুচির ছাপ পাওয়া যায়।
নেতৃদ্বয় বলেন, ব্যারিস্টার রফিক-উল হক কাজ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমান, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ, খালেদা জিয়া এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। তত্ত¡াবধায়ক সরকার জমানায় দুই নেত্রীর দুঃসময়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ান তিনি। অকুতোভয়ে তাঁদের জন্য আইনি লড়াই পরিচালনা করেন। ওই সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রায় সব প্রভাবশালী নেতার আইনজীবীও ছিলেন তিনি। তবে তাঁদের নানা কর্মকান্ডের সমালোচনা করতেও পিছপা হননি ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।
তারা বলেন, ওয়ান ইলেভেনখ্যাত প্রবীণ আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হক সরাসরি সমালোচনা করতে পছন্দ করতেন। ন্যায় ও সত্যের পক্ষে থাকতেন। কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পান নাই। রাজনীতি বা আদালতের যেকোনো ঘটনা সম্পর্কে আইন ও ন্যায়সঙ্গত কথা বলতে পছন্দ করতেন তিনি। এতে যে যা-ই মনে করুক, তিনি তাঁর মতামত প্রকাশে দ্বিধা করতেন না। কারো সঙ্গে তাঁর কোনো স্বার্থ জড়িত ছিল না বলেই সত্য কথা বলতে তিনি কোনো দ্বিধা করতেন না। দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্রের চর্চা হোক প্রবীণ আইনজীবী হিসেবে ব্যারিস্টার রফিক-উল হক সবসময় তা চাইতেন। আর তাই তিনি গণতন্ত্র রক্ষায় রাজনীতিবিদদের গণতন্ত্রের চর্চা করতে পরামর্শ দিতেন। ২০০৭ সালের সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর দুর্নীতি বিরোধী অভিযানে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিছুদিন যেতে না যেতেই এ দুজনের পক্ষেই আইনি লড়াই করেন ব্যারিস্টার রফিক।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন