নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইনে চলমান মামলায় বিচার প্রক্রিয়া স্থগিতের দাবিতে ১৬০ বিদেশির বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ। একইসঙ্গে বিবৃতি প্রত্যাহার দাবি জানানো হয়।
শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।
বিবৃতিতে শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৪ (ক) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে বিচারকার্য পরিচালনা করে। ফলে অযাচিতভাবে বিচারাধীন মামলার বিষয়ে এ ধরণের বিবৃতি বা চিঠি স্বাধীন বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা এবং বিচার বিভাগের ওপর অসাংবিধানিক হস্তক্ষেপ। যা স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে হুমকিস্বরূপ।
তিনি বলেন, এ ধরণের বিবৃতি আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা (আইএলও) এবং বাংলাদেশের আইনে শ্রমিকদের প্রদত্ত অধিকার সংক্রান্ত বিধানের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। আবার একই চিঠিতে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে যে মন্তব্য করা হয়েছে, তা স্বাধীন, সার্বভৌম একটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল।
তিনি আরও বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশের দেশপ্রেমিক ও সচেতন নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশের আপামর জনগণ এ ধরণের অবমাননাকর, অযাচিত ও বেআইনি হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই মেনে নেব না। এ ধরণের বিবৃতির পেছনে গোপন ও দুরভিসন্ধিমূলক রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিহিত রয়েছে।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সদস্য সচিব চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা . ইসমাইল খান, সম্মানিত সদস্য ও সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা .এইচ. এম. এনায়েত হোসেন, খুলনা শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা . এ জেড এম মোশতাক হোসেন।জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন