গত ৪ঠা সেপ্টেম্বর সোমবার গ্রেটার সাউদাম্পটন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীন ৪ দলীয় ঐক্যজোট সরকারের সন্ত্রাসীরা গোপালগঞ্জ—সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা—কর্মীদের উপর হামলা—মামলার প্রতিবাদে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রহমানের তনয়া, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে প্রানে হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি জামাতের প্রত্যক্ষ মদদপুষ্টে তারেক রহমানের নির্দেশে ৪ দলীয় জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, মুফতি হান্নান, জোট সরকারের উপমন্ত্রী বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টুর সরাসরি তত্ত্বাবধানে গ্রেনেড হামলা করে আওয়ামীলীগকে নিশ্চিন্ত করার নীলনকশা করে। উক্ত গ্রেনেড হামলায় আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় আজকের বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এদেশের মানুষ আশা—আকাঙ্ক্ষার শেষ আশ্রয়স্থল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতা—কর্মীরা মানব প্রাচীর সৃষ্টি করে প্রানে বাঁচিয়ে রাখতে পারলেও ঐ হামলায় নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ প্রায় ২৪ জন নেতা—কর্মী নিহত হন। ঢাকা সিটির সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফ, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্তসহ কেন্দ্রীয় নেতা—কর্মীরা সেদিন মানব প্রাচীর সৃষ্টি না করলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানসহ উনার পরিবারের সকল সদস্যদের মত পরিনতি ভোগ করতে হতো। হলফ করে বলা যায় এই হামলার উদ্দেশ্য ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের অসমাপ্ত পৈশাচিক হত্যাকাণ্ডের অংশ বিশেষ। শুধু বাংলাদেশ নয় পৃথিবীর ইতিহাসে নজিরবিহীন ঐরকম হামলার ঘটনা খোঁজে পাওয়া যায় না। ২১শে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তৎকালীন বিএনপি—জামাত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ মদদপুষ্টে সংগঠিত হয়েছিল এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই। তাই উক্ত হামলায় নেতৃত্বদান ও পরিকল্পনায় জড়িত তারেক রহমান, ৪ দলীয় জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ উক্ত হামলায় অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে অসমাপ্ত বিচারকার্য সম্পন্ন করার জন্য বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ও পুলিশের আইজি মহোদয়ের নিকট বিনীত আহবান জানান গ্রেটার সাউদাম্পটন আওয়ামী লীগ নেতা—কর্মীবৃন্দ।
গ্রেটার সাউদাম্পটন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনা নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গ্রেটার সাউদাম্পটন আওয়ামী লীগ নেতা শামীম মিয়া। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন সিলেট বানিজ্যিক মহাবিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, মদনমোহন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও যুক্তরাজ্য মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদের আহবায়ক জাহিদ ইসলাম। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১৪ দলীয় জোটের নেতা ও সর্ব ইউরোপীয় জাসদ নেতা মতিউর রহমান মতিন।
প্রধান অতিথি জাসদ নেতা মতিউর রহমান মতিন বলেন, ২১শে আগস্ট আওয়ামী লীগের জনসভায় চালানো ন্যাক্কারজনক গ্রেনেড হামলা ঘটনা ছিল সরাসরি আওয়ামীলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব তথা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে হত্যা করে আওয়ামীলীগকে চিরতরে নিঃশেষ করা। বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে হামলার ধরন ও লক্ষ্যস্থল থেকে এটা স্পষ্ট যে, শেখ হাসিনাকে হত্যা করাই ছিল ওই গ্রেনেড হামলা ও গুলিবর্ষণের মূল উদ্দেশ্য। দলীয় নেতা—কর্মীদের তৈরি মানব প্রাচীরের বদৌলতে শেখ হাসিনা রক্ষা পেলেও ওই হামলায় দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা—কর্মী প্রাণ হারান। গ্রেনেড হামলার বিচারের রায়ে তৎকালীন ক্ষমতাসীন বিএনপি জোট সরকারের মন্ত্রী ও সরকারের কর্মকর্তার সম্পৃক্ততায় প্রমাণ মেলে ঐ সরকারের প্রত্যক্ষ মদদেই হামলাটি পরিচালিত হয়েছিল। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ইটালী আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মোজাফফর হোসাইন বাবুল, সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও সিলেট ল' কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক গ্রেটার সাউদাম্পটন আওয়ামী লীগ নেতা কোহিনূর আলম, ফখরুদ্দিন, হাফিজুর রহমান, সিংগাইর সরকারি কলেজের সাবেক এজিএস ও ঢাকা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা গ্রেটার সাউদাম্পটন আওয়ামীলীগের অন্যতম নেতা আবুল কালাম আজাদ লিটন, মদনমোহন কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন ফাউন্ডেশন সিলেট মহানগর শাখার সহ—সভাপতি মোহাম্মদ দিলুয়ার হোসেন সুমন, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মোঃ রুবেল মিয়া, আব্দুস সামাদ আজাদ, মোহাম্মদ আসরাফুল গালিব (ছাত্র, সাউদাম্পটন সলেন্ট ইউনিভার্সিটি)।
উক্ত আলোচনা সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন গ্রেটার সাউদাম্পটন আওয়ামী লীগ নেতা হাজী ময়না মিয়া, মোঃ আব্দুল আলীম, ছালিক মিয়া, মুকিত খান, রাসেল আহমেদ, মোঃ সাজন আলী, গ্রেটার সাউদাম্পটন আওয়ামী লীগ নেতা জুনেদ আহমদ, আব্দুল মোতালেব মিঠু, তাকওয়া চৌধুরী (ছাত্র, সাউদাম্পটন সলেন্ট ইউনিভার্সিটি), ইয়াসির আরাফাত, সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হাফিজ খাঁন, ইমরান আহমদ, আলী খাঁন প্রমুখ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন