যেখানে বিতর্ক সেখানে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত থাকবেন না, তা কি হয়! বর্তমানে ভারতে ‘ইন্ডিয়া’ বনাম ‘ভারত’ নিয়ে জোর বিতর্ক চলছে। জি২০ বৈঠকের আমন্ত্রণপত্রে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সম্বোধনে ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’ লেখা হয়েছে। আর তাতেই বেঁধেছে যত বিপত্তি।
এ নিয়ে রাজনীতির মাঠ সরগরম। প্রশ্ন উঠছে, ভারতের নাম কি আর ‘ইন্ডিয়া’ থাকবে না, বদলে গিয়ে ‘ভারত’ হবে? এ বিষয়ে কঙ্গনা মনে করেন, ‘ইন্ডিয়া’ নয়, বরং ‘ভারত’ নামই হওয়া উচিত। অভিনেত্রীর দাবি, বছর দুয়েক আগেই নাকি দেশের নাম বদলের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তিনি।
২০২১ সালে কঙ্গনা একটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন ‘ইন্ডিয়া’ নাম থেকে দূরে থাকা উচিত, আমরা ভারতীয় এবং আমাদের দেশ ভারত। ‘ইন্ডিয়া’ দাসত্বের প্রতীক বলেই মত তার। বছর দুয়েক আগে তিনি যে কথা বলেছিলেন, সেটা নিয়ে এখন বিতর্ক চলছে রাজনীতিতে। নিজের করা সেই পুরোনো বক্তব্য নিজের এক্স (টুইটার) প্রোফাইলে পুনরায় পোস্ট করেন অভিনেত্রী।
তবে এদিন শুধু নিজের করা পোস্ট নয়। এক অনুরাগীর পোস্টও নিজের এক্স প্রোফাইলে পোস্ট করেছেন। সেখানেই অভিনেত্রীর প্রশংসা করে ওই অনুরাগী লেখেন, ‘সব সময়ই সময়ের চেয়ে এগিয়ে ভাবেন কঙ্গনা।’ তাতেই পাল্টা উত্তর দিয়ে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আরে লোকে ভাবে আমি কালো জাদু জানি। এটা সাধারণ জ্ঞান। দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে পাওয়া নাম থেকে মুক্তি… জয় ভারত।’
পাশপাশি ‘ভারত’ নামের গুরুত্ব বুঝিয়ে কঙ্গনা বলেন, “ভারত নামের গুরুত্ব আছে, কিন্তু ‘ইন্ডিয়া’ নামের অর্থ কি? ব্রিটিশরা সিন্ধু উচ্চারণ করতে পারত না। তাই সেটা অপভ্রংশ করে ‘ইন্দুস’ করেছিল। তারপর কখনো ‘হিন্দুস’, কখনো ‘ইন্দুস’ এইসব বলতে বলতে ইন্ডিয়া নাম দিয়ে দিলো।
‘ইন্ডিয়া’ নামের মানে বোঝাতে গিয়ে কঙ্গনা বলেন, ‘পুরোনো ইংরেজিতে ইন্ডিয়ান বলতে বোঝায় দাস। ব্রিটিশরা আমাদের ইন্ডিয়ান নামকরণ করেছিলেন। কারণ সেটাই (দাস) ছিল ব্রিটিশদের চোখে আমাদের পরিচয়। তাই আমরা ইন্ডিয়ান নই, ভারতীয়।’
কঙ্গনা রানাউতকে আগামীতে দেখা যাবে ‘চন্দ্রমুখী ২’ ছবিতে। এছাড়াও তার হাতে রয়েছে ‘তেজাস’ এবং ‘ইমার্জেন্সি’র মতো সিনেমা। ‘ইমার্জেন্সি’তে দেশের প্রথম ও একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে অভিনয় করছেন কঙ্গনা। এই ছবির পরিচালক এবং প্রযোজক দুটোই তিনি।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন