বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার সম্পূর্ণ বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছে ওয়াশিংটন। বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের কো-অর্ডিনেটর জন কিরবি এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তাকে সমর্থন করি। এই বিষয়ে আমাদের অবস্থানের কোনও কিছুই পরিবর্তন হয়নি। বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি ওয়াশিংটনের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে জন কিরবি বলেছেন, আমরা বাংলাদেশি জনগণের ইচ্ছাকে সমর্থন করি।
তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশি জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন দেখতে চাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে সেই আকাঙ্ক্ষা সফল করার চেষ্টা করবে।
আগামী বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে পশ্চিমা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নীতি-নির্ধারকদের তুমুল দৌড়ঝাপ শুরু হয়েছে। প্রায়ই এসব দেশের কর্মকর্তাদের বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে।
এদিকে, বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের স্বার্থে গত ২৪ মে নতুন ভিসা নীতির কথা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। এই নীতির আওতায় যে কোনো বাংলাদেশি ব্যক্তি যদি দেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী হন বা এরকম চেষ্টা করেছেন বলে প্রতীয়মান হয়; তাহলে যুক্তরাষ্ট্র তাকে ভিসা দেওয়ার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।
ওইদিন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান এবং সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকার-সমর্থক ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা, বিচারবিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সদস্যরাও এই ভিসা নীতির আওতায় পড়বেন।
যেসব কর্মকাণ্ড গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বানচালের আওতায় পড়বে সেগুলোও মার্কিন বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এসব কর্মকাণ্ডের মধ্যে আছে, ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শন, শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশ করার অধিকার প্রয়োগ করা থেকে মানুষকে বঞ্চিত করার জন্য সহিংসতাকে কাজে লাগানো এবং এমন কোনও পদক্ষেপ; যার উদ্দেশ্য রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা সংবাদমাধ্যমকে তাদের মত প্রচার থেকে বিরত রাখা।
বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনকে সমর্থন দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট-এর ২১২(এ)(৩)(সি)(৩সি) ধারা বলে এই নতুন নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন