বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বৈরথে এগিয়ে কারা

এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেই হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর আফগানিস্তানের বিপক্ষে জয় দিয়ে সুপার ফোর নিশ্চিত করা। যেখানে আরও একবার সেই শ্রীলঙ্কারই মুখোমুখি হচ্ছে সাকিব আল হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ।আজকের ম্যাচটি দুই দলের ৫৩তম দেখা।   

এখন পর্যন্ত ৫২ বার একে অন্যের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা। মুখোমুখি জয়ের হিসেবে শ্রীলঙ্কা বেশ অনেকটা এগিয়ে। এখন পর্যন্ত ৪১ ম্যাচে জয় পেয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। আর বাংলাদেশের পক্ষে ফল এসেছে ৯ ম্যাচে। 

মুখোমুখি দেখায় সর্বোচ্চ রানের হিসেবেও এগিয়ে থাকছে লঙ্কানরাই। ২০০৮ এশিয়া কাপের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৫৭ রান সংগ্রহ করে লঙ্কানরা। কুমার সাঙ্গাকারার শতরানের পাশাপাশি সনাৎ জয়সুরিয়া এবং চামিরা কাপুগেদেরার অর্ধশতকে বড় সংগ্রহ পেয়েছিল লঙ্কানরা।

বাংলাদেশের  সর্বোচ্চ সংগ্রহটা অবশ্য খুব বেশিদিন আগের কথা নয়। ২০১৭ সালে কলম্বোতে প্রথম ওয়ানডেতে ৩২৪ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের ১২৭ রান সাকিবের অর্ধশতক বাংলাদেশকে সেই ম্যাচে জয় এনে দিয়েছিল। 

সর্বনিম্ম রানের বেলায় বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭৬ রান। ২০০২ সালে নাইমুর রহমান দুর্জয়, খালেদ মাসুদ পাইলট, মোহাম্মদ রফিকদের যুগে অল্প রানে আটকে গিয়েছিল বাংলাদেশ। আর শ্রীলঙ্কার সর্বনিম্ন স্কোরের ঘটনা এখনও নিশ্চিতভাবেই মনে আছে টাইগার ভক্তদের। ২০১৮ এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের বোলাররা শ্রীলঙ্কাকে আটকে দিয়েছিল মাত্র ১২৪ রানে। 

ব্যাটে বলে এগিয়ে যারা

দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ রানের কীর্তি সাঙ্গাকারার। ওয়ানডে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক সাঙ্গা বাংলাদেশের বিপক্ষে করেছেন ১ হাজার ২০৬ রান। এরমাঝে তার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১২৮ রান। আর টাইগারদের জার্সিতে লঙ্কানদের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড মুশফিকুর রহিমের দখলে (১ হাজার ২০ রান)।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের কীর্তিও তারই। দুবাইয়ে ২০১৮ সালে খেলেছিলেন ১৪৪ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস। লঙ্কানদের হয়ে রেকর্ড অবশ্য তিলাকারাত্নে দিলশানের। তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১৬১ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস। 

সবচেয়ে বেশি শতকের দিক থেকেও এগিয়ে আছেন সাঙ্গাকারা। বাঁহাতি এই ক্লাসিক্যাল ব্যাটার টাইগারদের বিপক্ষে ৫ বার শতক হাঁকিয়েছেন। আর বাংলাদেশের হয়ে শতক বেশি তামিম ইকবাল এবং মুশফিকের। দুজনেরই আছে দুইটি করে শতক। 

লঙ্কানদের বিরুদ্ধে সফল বাংলাদেশের দুই তারকা

বোলিং রেকর্ডেও এগিয়ে লঙ্কানরাই। ক্রিকেট কিংবদন্তি মুত্তিয়া মুরালিধরন উইকেট নিয়েছেন ৩১ টি। বাংলাদেশের পক্ষে সবচেয়ে বেশি উইকেট সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার। দুই দলের খেলায় নড়াইল এক্সপ্রেসের ঝুলিতে আছে ২৬ উইকেট।

সেরা বোলিং ফিগারে অবশ্য নেই এই দুজনের কেউই। ২০০৩ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছিলেন লঙ্কান পেস কিংবদন্তি চামিন্দা ভাস। সেদিন ২৫ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচ শেষ করেছিলেন তিনি। লঙ্কানদের পক্ষে এটিই সবচেয়ে ভাল বোলিং ফিগার। আর বাংলাদেশের স্পিন কিংবদন্তি ৬২ রানের বিনিময়ে শিকার করেছিলেন ৫ উইকেট। এটিই বাংলাদেশের হয়ে সেরা বোলিং ফিগার। 

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন