১৩ই সেপ্টেম্বর বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশে মানবাধিকার ভূলুণ্ঠিত এবং হত্যা, গুম, খুন, লুট, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে নাগরিকদের অপহরণ, খুন, বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ড অবাধ সৃষ্ট নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের বাইরে যখন চরম উদ্বেগ উৎকণ্ঠা, এই সব বিষয় নিয়ে প্রস্তাব উঠবে বলে পার্লামেন্টের নির্ধারিত এজেন্ডায় স্থান পেয়েছে।
নির্ধারিত ডিবেট এর শিরোনাম রয়েছে- হিউম্যান রাইটস সিটুয়েশন ইন বাংলাদেশ বাংলাদেশ(২০২৩/২৮৩৩(আরএসপি) এবং পার্লামেন্ট ও কমিশনের রুল ১৩৫ মোতাবেক ডিবেট অন কেইসেস অব ব্রীচেস অব হিউম্যান রাইটস, ডেমোক্রেসি এন্ড দ্য রুল..(ম্যাক্সিমাম রুল ১৩৫) অধীনে পার্লামেন্টে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার লঙ্ঘন, আইনের শাসন ভুলুন্ঠিত এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিশেষ করে পুলিশ এলিট ফোর্স র্যাব ও ডিবির নামে রাজনৈতিক নেতা, কর্মী ও সাধারণ নাগরিকদের চোখ মুখ বেধে ধরে নিয়ে পরবর্তীতে পরিবারের কাছে লাশ না দেয়া, , ইলিয়াস আলী সহ গুমের সন্ধান ইত্যাদি দাবী নিয়ে পার্লামেন্টে এই নির্ধারিত বিতর্ক এখন পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপক কৌতুহল দেখা দিয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্ট বুধবারের নির্ধারিত বিতর্ক নিয়ে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহ সম্পাদক ডক্টর শাকিরুল ইসলাম খান শাকিলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানালেন, দীর্ঘদিন থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন কমিশন, পার্লামেন্ট মেম্বার, সেক্রেটারিয়েট সহ নানা স্তরে বর্তমানে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা গুম, খুন, হত্যা, সন্ত্রাস, গণতন্ত্রের লেবাসে স্বৈর-তান্ত্রিক শাসন, বিরোধী রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের নিপীড়ন , নির্যাতন, জেল জুলুম, আর বিএনপির নেতাকর্মীদের গুম খুন ও বাড়ী ঘর সম্পদ লুট পাট প্রভৃতির ডকুমেন্টারি এভিডেন্স সহকারে ধারাবাহিকভাবে কমিশনের নেতা, প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্ট প্রেসিডেন্ট, মেম্বার সহ নানা স্তরে আমরা যোগাযোগের মাধ্যমে তুলে ধরি।
ডক্টর শাকিরুল ইসলাম খান শাকিল আরো জানালেন, ইইউ পার্লামেন্ট সচিবালয় সহ এমপিদের কাছে তারা ১১ দফা দাবী সম্বলিত প্রস্তাব পার্লামেন্টে আনার জোর দাবী জানিয়ে আসছিলেন। তারই ফলে আগামী বুধবার এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে সকালেই এবং আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী পার্লামেন্টে এই মোশন পাশ করবে। কেননা শাকিল বলেন, সকলেই অবগত আছেন, বাংলাদেশে এখন এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। কারো জানমালের নিরাপত্তা নেই। র্যাব নামক এলিটফোর্স যখন তখন নাগরিকদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে, পরে লাশও পাওয়া যাচ্ছেনা।
পার্লামেন্টের বিশ্বস্ত সূত্র জানা গেছে, আজার বাইজান, গুয়াতেমালা আর বাংলাদেশের মানবাধিকার, গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিয়ে ইইউ পার্লামেন্ট যথেষ্ট ভাবে ওয়াকিবহাল হয়েই এই বিতর্ক অনুষ্ঠিত হবে।পার্লামেন্টের সদস্যদের কাছে ইতিমধ্যে সরকারের দমন পীড়নের অনেক তথ্য হস্তগত হয়েছে। পার্লামেন্টের অনেক সদস্য এখন অনেকটাই বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসন নিয়ে সন্ধিহান।
পার্লামেন্ট আইন সচিবালয় সূত্রে জানা গেছে, ইইউ চাচ্ছে সকল পক্ষের অংশ গ্রহণের মাধ্যমে ফ্রি ফেয়ার ক্রেডিবল ইলেকশনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক শাসন কাঠামোতে বাংলাদেশ পরিচালিত হোক- সেজন্যে ইইউ রাজনৈতিক শাখাকে কাজের সমন্বয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে সূত্র উল্লেখ করেছেন।
বেলজিয়াম বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আশার কথা আমাদের দীর্ঘদিনের প্রচেষ্টার ফলে আজকে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের প্রত্যেক গ্রুপ আলাদা আলাদা প্রস্তাব বাংলাদেশ বিষয়ে পার্লামেন্ট জমা করেছে।ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টে সংসদ সদস্যদের বির্তকে বাংলাদেশের সংকট সমাধানের পথ সুগম হবে
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন