ইকামার মেয়াদোত্তীর্ণ প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেশে প্রত্যাবর্তনের দীর্ঘসূত্রতা লাঘবের লক্ষ্যে সৌদি আরবের শ্রম অফিসের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেছে দূতাবাস।
বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সৌদির শ্রম অফিসের চেয়ারম্যানকে সাউদ বিন সাবাব আসের সঙ্গে মতবিনিময় করেন দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান মো. আবুল হাসান মৃধা। এ সময় তিনি এ অনুরোধ করেন।
দূতাবাস জানায়, রিয়াদের মক্তব আমলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে স্পেশাল এক্সিট সুবিধার আওতায় বাংলাদেশি কর্মীরা কীভাবে সুবিধা পেতে পারে এ নিয়ে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
দূতাবাসের মিশন উপ-প্রধান বলেন, সৌদি আরবে বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় ২৮ লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মরত রয়েছেন যাদের মধ্যে অনেকেরই ইকামার মেয়াদোত্তীর্ণ/ হুরুব থাকার কারণে বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার জন্য দূতাবাসে আসছেন। উক্ত সেবা গ্রহণের জন্য সৌদি আরবের দূরবর্তী ও প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সশরীরে দূতাবাসে এসে থাকেন বা অনেকেই অনলাইনে আবেদন করে থাকেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ইকামার মেয়াদোত্তীর্ণ সংক্রান্ত প্রবাসীদের দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য ফাইনাল এক্সিট ভিসা প্রদানের কাজটি করে থাকে সৌদি শ্রম অফিস এবং পরে ডিপোর্টেশন কর্তৃপক্ষ।
তিনি বলেন, ইকামার মেয়াদোত্তীর্ণ সংক্রান্ত অনেক প্রবাসী মারাত্মক অসুস্থতা, অঙ্গহানিসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন। যা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দ্রুত নিষ্পত্তি করা প্রয়োজন।
মিশন উপ-প্রধান মক্তব আমলের ক্লিয়ারেন্স ইস্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য সৌদির শ্রম অফিসের চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন।
মিশন উপ-প্রধানের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে সৌদির শ্রম অফিসের চেয়ারম্যান বলেন, স্পেশাল এক্সিটের আওতায় এক্সিট প্রাপ্তদের বড় একটা অংশ দেশে ফেরত যাচ্ছেন না, যার ফলে তারা সৌদি শ্রম আইন ভঙ্গ করছেন এবং পুনরায় অবৈধ হয়ে পড়ছেন। সেজন্য দূতাবাসের জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।
চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশি ছাড়াও তাদেরকে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ফিলিপাইনসহ অন্যান্য দেশের নাগরিক যারা সৌদি শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী তাদের নিয়েও কাজ করতে হয়। তারপরেও মক্তব আমল কর্তৃপক্ষ পূর্বের তুলনায় আরও বেশি আবেদন গ্রহণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবেন এবং দূতাবাসের পেন্ডিং আবেদনসমূহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।
এ সময় দূতাবাসের কাউন্সেলর মো. হুমায়ূন কবীর ও প্রথম সচিব (শ্রম) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন