কাঁঠালিয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিসের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী লিটনের অবৈধ সম্পদের পাহাড়" নিরব ভূমিকায় জেলা সাব রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা'রা

কাঁঠালিয়া সংবাদদাতা 

কাঁঠালিয়া উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নকল খানার দায়িত্বে থাকা লিটনের অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। নানা অবৈধ উপায়ে অর্জিত অর্থে তিনি  বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। দামি গাড়ি কিনেছেন। এ ছাড়া 

সাব রেজিস্ট্রার সেলিম ভুঁইয়া বিরুদ্ধেও দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে। অবৈধ উপায়ে তাদের কোটি কোটি টাকা অর্জন এবং বিপুল সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ তদন্ত করে দেখার জন কাঁঠালিয়া বার্সি জোর দাবি জানান,

 সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের লিটনের  এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে  দুজনের দুর্নীতি অনিয়ম ও বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে তদন্তের জোর দাবি জানান দলিল লেখক সমিতির  সদস্যবৃন্দরা

দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে কাঠালিয়া সাব-রেজিস্ট্রি অফিস। একাধিকবার  অভিযান চালিয়েও নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না দুর্নীতি। সাব-রেজিস্ট্র্রার অফিসের লিটন নকলনবিশ কয়েক বছরেই কোটিপতি বনে গেছেন। অথচ তারা সরকারী কোনো কর্মচারী নন। সাব-রেজিস্ট্রারের আস্থাভাজন হিসেবে কাজ করেন। বিভিন্ন  অভিযানের পর থেকে তারা আতঙ্কে রয়েছেন।

সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের একাধিক দলিল লেখক অভিযোগ করে বলেন, লিটন কোনো সরকারী কর্মচারী না। তারা সাব-রেজিস্ট্রারের নিয়ন্ত্রণে কাজ করেন। তবে তাদের হাতেই জিম্মি এ অফিস। একসময় ঠিকমতো খাবার পেত না, আর এখন তারা লাখ লাখ টাকার মালিক।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে, মূল্যবান দলিল ও ফাইলপত্র। তার বিরুদ্ধে প্রায়ই দলিল পত্রের গোপন নথি বাইরে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে অন্যের হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগও রয়েছে। এভাবেই তিন কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। রয়েছে ব্যাংক ব্যালেন্সও। যার সবই দুর্নীতির মাধ্যমে রোজগার করা টাকার। কিন্তু লিটন নিজ ও পরিবার সদস্যদের নামে সব সম্পত্তি করেছেন।

তবে অভিযোগ প্রসঙ্গে লিটন বলেন, প্রায় ২০ বছর যাবৎ চাকুরী করছি। কিছু কিছু টাকা জমিয়ে ও বড় বড় কোম্পানীর সাথে জমি কেনাবেচায় সহযোগিতা করে এসব সম্পত্তি করেছি। তবে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কোনো নথি টাকার বিনিময়ে বাইরে কোথাও দেইনি।

নকলনবিশ  এখন সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের নেতা। তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে দলিলের তথ্য বিক্রি করে  বিঘা জমি ও বাড়ি করেছেন। এছাড়া ব্যাংক ব্যালেন্সও রয়েছে বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

 সরকারী কর্মচারী না হয়েও সাব-রেজিস্ট্রার অফিস থেকে দুর্নীতির মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা কামিয়েছেন। তৎকালীন সাব-রেজিস্ট্রারের আস্থাভাজন হওয়ায় তার সব দুর্নীতি ও আন্ডারভ্যালু দলিলের টাকা লিটনের  মাধ্যমে লেনদেন করতেন। সে থেকেই লিটন আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যান। জেলা ঝালকাঠি  সাব-রেজিস্ট্রার  কাছে তার অফিসের  লিটন নকলনবিশের কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন