কাঁঠালিয়া সংবাদদাতা
বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলাধীন কাঁঠালিয়া উপজেলার ইউএনও অফিসের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাইমুর ইসলাম নাইমের বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দের ৩০-৪০ শতাংশ কমিশন বাণিজ্য, ঘুষ-দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেনামি একাউন্টের মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা স্থানান্তরসহ দুর্নীতির আলামত নষ্টের জন্য অগ্নিকাণ্ড ও চুরির ঘটনা সাজানোর অভিযোগ করা হয়েছে।
কয়েক বছর আগে দুপুরে ইউএনও অফিসে মেয়ে সহ ধরা পরে এনিয়ে, ইউএনও অফিসের সামনে হাজার হাজার মানুষ জরো হয়" কাঁঠালিয়া ইউএনও অফিসে যোগদানের পর থেকে টিআর, জিআর, কাবিখা, এডিপি, এলজিএসপিসহ উপজেলা পরিষদের সরকারি বরাদ্দে নানা অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্রকাশ্য ঘুষ বাণিজ্য করে আসছেন। সরকারি লোহার বিম রাতের আধারে সরিয়ে দেয়েছে, আমুয়া বন্দরে ১৮ শতাংশ জমি কিনেছেন"
রাতে নদী থেকে বালি উথলন করে, তার ভাগ নিচ্ছে"
নাইমের বিষয়ে জানতে চাইলে
ঘুষ-দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে কাঁঠালিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুঠোফোনে বলেন আমি নতুন যোগদান করছি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেও হবে"
এ ব্যাপারে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক বলেন, ইউএনও অফিসের সহকারী প্রশাসনিক কমর্কর্তা নাইমুর ইসলাম নাইমের বিরুদ্ধে দুনীতির অভিযোগের বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে।
কাঁঠালিয়া উপজেলা দোকানদার'রা বলেন নাইম কয়েক কুটি টাকার মালিক ৩আমুয়া বাজারে জমি রাখছে, নামে বে-নামে বহু টাকার মালিক নাইম, আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দিয়ে প্রতিজন থেকে ৫০০০ হাজার টাকা নিয়েছে নাইম " পিআই অফিস থেকে বরাদ্দ নিছে এভাবে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে নাঈমুল ইসলাম নাঈমের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের সহ কাঠালীয়া উপজেলায় সরকারি অফিস বেসরকারি অফিস সব ধরনের কাজে দুর্নীতি করে আসছে" এবিষে নাঈমুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ কথা অস্বীকার করেন "সরকারি সেবাদানের বিপরীতে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নিজ হাতে ঘুষ নেওয়া, জনপ্রতিনিধিদের সাথে দুর্ব্যবহার, বিভিন্ন দিবসের নামে বিত্তবানদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে। এসব ছাড়াও করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণের সময় মাঠে না থাকা এবং বিভিন্ন প্রকল্পের বিপরীতে অনিয়ম-দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়াসহ অসংখ্য অভিযোগ এনে তাকে অবিলম্বে কাঁঠালিয়া থেকে প্রত্যাহারের দাবি জানান কাঠালিয়া বার্সি"সেইসাথে দুদক বা নিরপেক্ষ সংস্থার মাধ্যমে অভিযোগ উঠা নানা অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি করেছেন খোদ স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের সর্বস্তরের সচেতন নেতাকর্মীরা।কাঁঠালিয়া উপজেলা ৪নংইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, সরকার সাধারণ জনগণের জন্য ভিজিডি, ভিডিএফসহ জনবান্ধব নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেন। যাতে জনগণ কোন অবস্থাতেই অভুক্ত না থাকেন। পাশাপাশি যে কোন দুর্যোগেও সরকারীভাবে যথেষ্ট ত্রাণ-সহায়তা চালানো হয়। কিন্তু বর্তমান নাইম ক্ষমতার অপব্যবহার করে এসব প্রকল্পের বিপরীতে স্ব স্ব ইউনিয়নে বরাদ্দ থেকে একটি অংশ কেটে রাখেন এবং সরাসরি চেয়ারম্যান এবং সচিবদেরকেও বাধ্য করেন। এসবের প্রতিবাদ করলে জনপ্রতিনিধিদের সাথেও তিনি চরম দুর্ব্যবহার করেন।
কাঁঠালিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আমিও একজন নারী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করছেন। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্ববাসীর কাছে রোলমডেল। কিন্তু আমাদের মানসম্মান ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছেন। তিনি কথায় কথায় বলে থাকেন, নাইম এখানে কিসের উপজেলা পরিষদ ? তিনি উপজেলা পরিষদ মানেন না।
কাঁঠালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের বিপরীতে কোন ব্যক্তির কাছ থেকে এক টাকাও আদায় না করার জন্য সরকারী এবং দলের পক্ষ থেকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্দেশনা না মেনে একজন সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয়ে ফোন করে অফিসে ডেকে নিয়ে অসংখ্য বিত্তবান ব্যক্তির কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়েছেন।
এসব ব্যাপারে ঝালকাঠি-১ আসনের সংসদ সদস্য প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, দলের এবং কাঠালিয়া অসংখ্য ব্যক্তি আমাকে ফোন করে প্রতিনিয়ত টাকা দাবি করাসহ ইউএনও’র সহকারী প্রশাসনিক কমকর্তা নাইমুল ইসলাম নাইমের বিরুদ্ধে নানা ধরণের অভিযোগ উত্থাপন করে আসছেন। বিষয়টি নিয়ে আমি ও সাবেক (ইউএনও) মিলে বার বার সতর্ক করে দিয়েছি- এরপর এলাকার কোন মানুষের কাছ থেকে আপনি টাকা চাইবেন না। এরপরও তিনি কোন কর্ণপাত না করায় বিষয়টি সাবেক বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকেও একাধিকবার অবহিত করা হয় বলেও জানান তিনি" দ্বিতীয় পর্র চোখ রাখুন তৃতীয় পর্ব

মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন