বাংলাদেশিদের মার্কিন ভিসা পেতে সমস্যার কথা যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে ঢাকা। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এম খুরশেদ আলম গতকাল রবিবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের কনস্যুলার বিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রেনা বিটারের সঙ্গে বৈঠকে ভিসা সমস্যার বিষয়টি তুলে ধরেন।
বৈঠকের পর ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক বার্তায় বলেছে, বাংলাদেশিদের যুক্তরাষ্ট্রে পড়ালেখা, ভ্রমণ বাড়ছে। ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) এম খুরশেদ আলম ও কনস্যুলার বিষয়ক মার্কিন অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রেনা বিটার শিক্ষার্থী ভিসার জন্য বাংলাদেশিদের শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বৃদ্ধি, আমেরিকান নাগরিকদের কনস্যুলার সেবা ও ভিসা সাক্ষাৎকারের জন্য অপেক্ষার সময় কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহের বিষয়ে আলোচনা করেছেন।
এদিকে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, কনস্যুলার সেবা নিয়ে দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অন্য কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়নি।
মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে ভিসানীতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, ‘ভিসানীতি নিয়ে কোনো আলাপ-আলোচনা হয়নি। তাঁরা বিষয়টি তোলেননি।
তবে আমাদের কিছু বিষয় ছিল। আমাদের শিক্ষার্থীরা ঠিকমতো ভিসা পায় না। বাংলাদেশিদের অনেকে আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকরি করেন। তাঁদেরও ভিসা পেতে সমস্যা হয়।
সে বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরেছি। তাঁরা বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন।’
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব বলেন, কভিড মহামারি শুরুর পর যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পেতে অনেক সময় লাগত। তাঁদের লোকবল কম ছিল। সেই সময়টা তাঁরা কমিয়ে এনেছেন।
ছয় মাসের মধ্যে তাঁরা ভিসা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। এ ইস্যুগুলো নিয়ে আলাপ হয়েছে।
বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি আরোপ নিয়ে ঢাকার পক্ষ থেকে উদ্বেগ জানানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে খুরশেদ আলম বলেন, উদ্বেগ জানানোর ও রকম কিছু নেই। এ ব্যাপারে বাংলাদেশের উৎসাহ নেই।
রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে গুরুত্ব
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসন বিষয়ক ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি জেনিন ওয়াইন গতকাল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ওই বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট ও এর কারণে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রসচিব খুরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, রোহিঙ্গা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রোহিঙ্গারা যেন সম্মানের সঙ্গে মিয়ানমারে ফিরে যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। খুরশেদ আলম বলেন, এ বিষয়ে বাংলাদেশের দ্বিমত নেই। তবে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভুল করেছেন—পরিস্থিতি যাতে এমন না হয়। দুটি বৈঠকেই যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস উপস্থিত ছিলেন।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন