বাজারে ব্রয়লার মুরগির অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির অভিযোগে কাজী ফার্মসসহ দুই প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে আট কোটি টাকা জরিমানা করেছে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন। কম্পানিগুলোকে জরিমানার টাকা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনকে প্রদান করতে হবে। কাজী ফার্মসকে পাঁচ কোটি টাকা এবং সাগুনা ফুড অ্যান্ড ফিডস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেডকে তিন কোটি ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা করেছে প্রতিযোগিতা কমিশন। এক বছর আগে দায়ের করা মামলায় দীর্ঘ শুনানি ও পর্যালোচনা শেষে কমিশন এ রায় ঘোষণা করেছে।
সোমবার বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপারসন প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, ‘আজকে মামলা দুটির রায় হয়েছে। কম্পানিগুলো প্রতিযোগিতা আইন ২০১২-এর ১৫ ধারা লঙ্ঘন করায় তাদের এই জরিমানা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন কম্পানিগুলোকে জরিমানার টাকা ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনকে প্রদান করতে হবে। তারা যদি যথাসময়ে জরিমানা প্রদান করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে প্রতিদিনের জন্য তাদের আরো এক লাখ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে কমিশনকে।
তবে কম্পানি দুটি চাইলে এই রায়ের বিরুদ্ধে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আপিল করতে পারবে’, যোগ করেন তিনি।
গত বছরের আগস্টে প্রতিযোগিতা কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দুটি করেছিল। গত বছর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোয় সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয় ব্যবসায়ীরা। ব্রয়লার মুরগির দামও অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো হয়।
বাজার নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করে। দাম বাড়ানোর পেছনে বড় কম্পানিগুলোর হস্তক্ষেপ রয়েছে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেয় ভোক্তা অধিদপ্তর। এরপর বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন সেসব কম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে।
জানা গেছে, কাজী ফার্মস লিমিটেডকে মামলা নম্বর ৪৫/২০২২ এবং সাগুনা ফুড অ্যান্ড ফিডস বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড মামলা নম্বর ৪৬/২০২২-এর রায় দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার বলেন, ‘বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের এই রায়ের কারণে দেশে পোলট্রি ব্যবসায় সিন্ডিকেট বন্ধ হবে।
সিন্ডিকেট বন্ধ হলে দেশের প্রান্তিক খামারিরা লাভবান হবেন।’
জরিমানার বিষয়ে কাজী ফার্মসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহিন আহমেদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন