টস জিতে ইংল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে শুরুতে উইকেটের ফায়দা নিতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সেটা তো হয়ইনি, উল্টো বাংলাদেশকে ৩৬৫ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য দিয়েছে ইংলিশরা।
আগের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারেননি ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা। সেই ঝালই কি না বাংলাদেশের বোলারদের ওপর দিয়ে মেটালেন ডেভিড মালান-জো রুটরা।
ইংলিশদের বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছেন মূলত ওপেনিং জুটি আর দ্বিতীয় উইকেট জুটি।
ডেভিড মালান আর জনি বেয়ারস্টোর ওপেনিং জুটি থেকে আসে ১১৫ রান। বেয়ারস্টোকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন সাকিব আল হাসান। ফেরার আগে ৫৯ বলে ৫২ রান করেছেন বেয়ারস্টো।
তাঁর ইনিংসে ৮টি চারের মার রয়েছে। ইংল্যান্ডের ইনিংসে দ্বিতীয় শত রানের জুটি এসেছে মালান আর রুটের জুটিতে।
দুজনের ১৫১ রানের জুটিই মূলত ইংল্যান্ডকে বড় সংগ্রহ এনে দিয়েছে। এই জুটিতে ওয়ানডের ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি তুলে নেন মালান।
৩৯ বলে ফিফটি ও ৯১ বলে বিশ্বকাপের নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই ওপেনার। তাঁকে শেষ পর্যন্ত ১৪০ রানে ফিরিয়ে স্বস্তি ফেরান শেখ মেহেদী হাসান।
মালান ১০৭ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন ১৬ চার ও ৫ ছক্কায়। এরপর রুটের সঙ্গে জস বাটলারের ২৮ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ২০ রানে বাটলারকে বোল্ড করে ফেরান বাঁহাতি পেসার শরীফুল ইসলাম।
ইনিংসের বাকি সময়টায় নিজেদের কিছুটা ফিরে পান বাংলাদেশের বোলাররা। এই সময় টানা দুই বলে রুট ও লিয়াম লিভিংস্টোনকে নিজের শিকারে পরিণত করেন শরীফুল।
রুট ৬৮ বলে ৮২ রানের ইনিংস খেলেছেন। তাঁর ইনিংসে ৮ চার ও এক ছক্কা। এরপর হ্যারি ব্রুক, স্যাম কারান ও আদিল রশিদকে ফিরিয়েছেন শেখ মেহেদী। ক্রিস ওকস শিকার হয়েছেন তাসকিন আহমেদের। শেষ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের ইনিংস থেমেছে ৯ উইকেতে হারিয়ে ৩৬৫ রানে। শেষ ১০ ওভারে ঘুরে দাঁড়িয়ে রানের লাগাম টেনেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। ইনিংসের এই পর্বে ৬৬ রান দিয়েছেন তাঁরা। ৮ ওভারে ৭১ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার শেখ মেহেদী। শরীফুল নিয়েছেন ৩ উইকেট।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন