হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে লাশের সংখ্যা ২ হাজার ছাড়াল

হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা-পাল্টা হামলা চলছেই। হামলায় এখন পর্যন্ত উভয়পক্ষের ২ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে ১২০০ ইসরায়েলি এবং ৯০০ জন ফিলিস্তিনি রয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম কান বুধবার (১১ অক্টোবর) মধ্যরাতে এ তথ্য জানিয়েছে।

 

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের আকস্মিক হামলায় অনেকটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইসরায়েল। গত ৭৫ বছরে কখনো এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হয়নি ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে। কোনো পূর্ব সতর্কতা ও হুমকি-ধামকি ছাড়াই হঠাৎ করে শনিবার সীমান্ত প্রাচীর ভেঙে ইসরায়েলের ভেতর ঢুকে পড়েন হামাসের ১ হাজার যোদ্ধা।

তারা সেখানে প্রবেশ করেই গুলি চালানো শুরু করেন। এছাড়া হামাসের যোদ্ধারা অবৈধ বসতিস্থাপনকারী ইসরায়েলিদের বাড়িতে গিয়েও হামলা চালান। অপরদিকে হামাসের হামলার প্রতিশোধ নিতে শনিবার থেকেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো শুরু করে ইসরায়েল। আর তাদের এসব হামলায় গাজায় প্রায় ৯০০ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

 

এর আগে, গতকাল গাজা উপত্যকার ২০০টিরও বেশি স্থানে রাতভর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। যার মধ্যে গাজা শহরের রিমালপাড়া এবং খান ইউনিস শহরও রয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, যেসব জায়গায় হামলা করা হয়েছে তার মধ্যে একটি মসজিদ ও অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। মসজিদের ভেতরে অস্ত্র রাখার জায়গা ছিল এবং কথিত এক হামাস কমান্ডারের বাড়িতেও হামলা চালায় তারা।

হামাসের কাছে প্রচুর ইসরায়েলি নাগরিক জিম্মি আছে।

তাদের ব্যাপারে তথ্য পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে অনুসন্ধান করছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। এদিকে হামাসের সশস্ত্র গোষ্ঠী আল-কাশেম ব্রিগেডস হুমকি দিয়েছে, গাজায় বোমা হামলা চালিয়ে নিরীহ বেসামরিক মানুষ হত্যা বন্ধ না করলে কোনো প্রাক-আভাস ছাড়াই জিম্মি ইসরায়েলিদের মেরে ফেলা হবে। অনেক বছর ধরে ফিলিস্তিনের শহর গাজা থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পেরেছিল ইসরায়েল। কিন্তু গত শনিবার মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তাদের সেই সুরক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। মাত্র ২০ মিনিটেই পাঁচ হাজার রকেট ছোড়ে হামাস। 

 

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী গাজা উপত্যকাকে সম্পূর্ণ অবরোধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। খাদ্য, জ্বালানি, বিদ্যুৎ এবং পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিতে বলা হয়। গাজায় প্রায় ২৩ লাখ মানুষ বসবাস করে, যাদের ৮০ শতাংশ সাহায্যের ওপর নির্ভর করে চলে। শনিবার সকালে হামলা শুরুর পর থেকে ইসরায়েল গাজায় খাদ্য, ওষুধসহ সব ধরনের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। অনেকেই বর্তমানে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সেবা ছাড়াই আছে। ইতিমধ্যে হয়তো প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পানি সরবরাহও বন্ধ হয়ে গেছে। কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে, গাজা উপত্যকার জ্বালানি শেষ হয়ে যাবে। 

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন