বাংলাদেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে চতুর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম শ্রীলঙ্কার ম্যাচে ছিলেন ফিন্ড আম্পায়ারের ভূমিকায়। এবারের বিশ্বকাপে বেশকিছু ম্যাচে মাঠ পরিচালনার দায়িত্বে দেখা যাবে বাংলাদেশি এই আম্পায়ারকে।
শরফুদ্দৌলার এমন অর্জনে তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন তামিম ইকবাল। সেখানে লিখেছেন, ‘এবারের বিশ্বকাপে শুধু বাংলাদেশ দলই নয়, শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত ভাইও আমাদের একজন উজ্জ্বল প্রতিনিধি। দেশের প্রথম আম্পায়ার হিসেবে বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনা করছেন তিনি, বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য এটা অনেক বড় ব্যাপার।’
বিশ্বকাপে শরফুদ্দৌলার জায়গা করে নেওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য গর্বে মনে করেন তামিম, ‘বাংলাদেশে আম্পায়ারিং একটি প্রশংসাহীন কাজ।
সেই দেশের একজন আম্পায়ার বিশ্বমঞ্চে জায়গা করে নিয়েছেন নিজের যোগ্যতা, নিষ্ঠা ও দীর্ঘদিনের কঠোর অধ্যাবসায় দিয়ে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যও এটি গর্বের ব্যাপার। বেশ কয়েকটি ম্যাচে মাঠের আম্পায়ার হিসেবে ম্যাচ পরিচালনা করছেন তিনি, থাকছেন চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবেও।’
শরফুদ্দৌলা অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশের সেরা আম্পায়ারদের একজন।
দেশি আম্পায়ারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ টেস্ট, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫২ ওয়ানডে ও সর্বোচ্চ ৪৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনার।
শরফুদ্দৌলাকে দেখে অনেকেই আম্পায়ারিংকে পেশা হিসেবে নিতে পারেন বলেও মন্তব্য করেন তামিম, ‘নানা বাস্তবতার কারণে আমাদের দেশের কোনো আম্পায়ার এখনো পর্যন্ত এলিট প্যানেলে জায়গা করে নিতে পারেননি। তার পরও সৈকত ভাই একটু একটু করে লড়াই করে নিজেকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও যেভাবে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে গেছেন, দেশের অনেক আম্পায়ারের জন্য তা নিঃসন্দেহে দারুণ অনু্প্রেরণার। অনেকেই এখন আম্পায়ারিংকে পেশা হিসেবে নেওয়ার কথা আরো বেশি গুরুত্ব দিয়ে ভাবতে পারবে।’
পরিশেষে তামিম লিখেছেন, ‘অভিনন্দন সৈকত ভাই।
আমাদের দেশের ক্রিকেটের মতো দেশের আম্পায়ারিংও এগিয়ে যাক আরো।’
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন