আদিবাসী ইস্যু : প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ডের চেয়ে পিছিয়ে অস্ট্রেলিয়া

অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসী ইস্যুতে আগামী শনিবার ‘ভয়েস’ নামের একটি গণভোট হতে যাচ্ছে। ভোটের ফল আদিবাসীদের পক্ষে গেলে অস্ট্রেলিয়ার সংবিধানে দেশটির মূল ভূখণ্ড ও টোরেস দ্বীপের আদিবাসীদের সেখানকার প্রথম বাসিন্দা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হবে। আলোচিত এই গণভোটের প্রাক্কালে অনিবার্যভাবে উঠে এসেছে প্রতিবেশী নিউজিল্যান্ডের আদিবাসী পরিস্থিতির সঙ্গে দেশটির তুলনা। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড উভয় দেশের আদিবাসীরা অশ্বেতাঙ্গ।

 

দুই দেশেই ইউরোপীয়রা এসে উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা করে। এতে দেশ দুটির আদিবাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড ও টোরেস দ্বীপের আদিবাসীদের মতো নিউজিল্যান্ডের মাউরি আদিবাসীরাও স্বাস্থ্য, পারিবারিক আয় ও শিক্ষার দিক থেকে সুবিধাবঞ্চিত। তবে নিউজিল্যান্ডের রাজনীতিতে আদিবাসীদের অবস্থা অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে তুলনামূলকভাবে ভালো।

 

মনে করা হচ্ছে, ভয়েস ভোটে ‘হ্যাঁ’ জয়যুক্ত হলে অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে আদিবাসীদের প্রতিনিধিত্বের পরিসর বাড়বে। অস্ট্রেলিয়ায় গণভোটের আগ মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরের একটি আর্ট গ্যালারিতে আয়োজিত প্রদর্শনীতে অস্ট্রেলিয়ার মূল ভূখণ্ড এবং বিভিন্ন দ্বীপের আদিবাসীদের নিয়ে শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হচ্ছে। প্রদর্শনীর গুরুত্বপূর্ণ একটি কক্ষে ‘প্রতিরোধ ও উপনিবেশ’ শিরোনামে শিল্পী ভার্নন আহ কির শিল্পকর্ম রাখা হয়েছে। ওই শিল্পকর্মে আদিবাসী হওয়ার কারণে নিজ দেশ অস্ট্রেলিয়ায় কী ধরনের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, তাই তুলে ধরেছেন ভার্নন আহ কি।

শিল্পকর্মে ভার্নন শুধু লিখে রেখেছেন এ রকম কিছু কথা : ‘আমি যদি শ্বেতাঙ্গ হতাম, তাহলে স্যুট-টাই পরতে পারতাম এবং আমাকে সন্দেহজনক দেখাত না। আমি যদি শ্বেতাঙ্গ হতাম, বিলাসবহুল দোকানে কেনাকাটা করতে পারতাম এবং আমাকে সন্দেহজনক দেখাত না।’

 

ভার্নন কি আরো লিখেছেন, ‘আমি যদি শ্বেতাঙ্গ হতাম, তাহলে এমন দেশে আমাকে বাস করতে হতো না, যা আমাকে ঘৃণা করে। আমি যদি শ্বেতাঙ্গ হতাম, আমার একটি দেশ থাকত।’

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন