হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডাব্লিউ) গাজা উপত্যকা এবং লেবাননে ‘নিষিদ্ধ’ সাদা ফসফরাস বোমা ফেলার অভিযোগ তুলেছে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এই বিতর্কিত যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এর আগে গাজায় নিষিদ্ধ সাদা ফসফরাস বোমা ফেলার অভিযোগ করে ফিলিস্তিনিও। দেশটির ওয়াফা নিউজ এজেন্সির বরাত দিয়ে গত বুধবার আলজাজিরা জানিয়েছিল, গাজার আল-কারামা এলাকায় সাদা ফসফরাস বোমা ফেলেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আল-কারামার বোমা হামলার একটি ভিডিও পোস্ট করেছিল মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফরম এক্সে (আগে টুইটার নামে পরিচিত ছিল)। এবার মানবাধিকার গোষ্ঠী এইচআরডাব্লিউ একই অভিযোগ আনল। অত্যন্ত দাহ্য এই রাসায়নিক পদার্থ কখনো কখনো সামরিক বাহিনী এলাকা চিহ্নিত করতে ব্যবহার করে। তবে এই বোমা মানুষকে মারাত্মকভাবে পুড়িয়ে ফেলতে পারে।
অস্ত্র হিসেবে এটি অত্যন্ত বিপজ্জনক।
এদিকে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছে, বর্তমানে গাজায় সাদা ফসফরাসযুক্ত অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়টি তারা জানে না। লেবাননের বিষয়েও তারা কোনো মন্তব্য করেনি।
এইচআরডাব্লিউ বলেছে, তারা গাজা এবং লেবাননে ধারণ করা ভিডিওগুলো বিশ্লেষণ করেছে।
যাতে সাদা ফসফরাসের আর্টিলারি শেল বিস্ফোরিত হতে দেখা যাচ্ছে। গাজায় এএফপি বার্তা সংস্থার তোলা ছবিগুলোতে আকাশে বিস্ফোরিত সাদা ফসফরাস বোমার সাদা রেখা দেখা যাচ্ছে। সাদা ফসফরাস যখন অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসে তখন তা জ্বলে ওঠে এবং ঘন সাদা ধোঁয়া উৎপন্ন করে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ অধিকার গোষ্ঠীটি একটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘গাজা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোর মধ্যে একটি। সেখানে সাদা ফসফরাসের ব্যবহার বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে।
বেসামরিকদের এমন ঝুঁকিতে ফেলা আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের লঙ্ঘন।’ সাদা ফসফরাস আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে নিষিদ্ধ নয়। তবে মানুষের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাবের কারণে এর ব্যবহার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত। ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী ২০০৮-২০০৯ সালে গাজায় আক্রমণের সময় সাদা ফসফরাস ব্যবহার করেছিল। বেশ কয়েকটি অধিকার গোষ্ঠী ওই সময় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ করেছিল।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন