ইসরায়েলকে যেসব সামরিক সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন তেল আবিবে একটি বৈঠক করেছেন। গাজা-ইসরায়েলের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল সফর করেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল আইডিএফ কিরিয়া সদর দপ্তরে তিনি ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আলোচনা শেষে সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও জনগণকে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন নেতানিয়াহু।

 

 

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে বলেন, ‘আমি ইসরায়েলকে একটি বার্তা দিতে চাই। নিজেদের রক্ষা করার জন্য আপনারা হয়তো যথেষ্ট শক্তিশালী। তবে যত দিন আমেরিকা থাকবে, আমরা সব সময় ইসরায়েলের পাশে থাকব। হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর মুহূর্ত থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন আপনাদের এই বার্তাটি দিয়েছেন।

’ 

 

তিনি বলেন, ‘এটি সেই বার্তা যা আমি এবং আমার অন্য সহকর্মীরা ইসরায়েলকে প্রতিদিন দিয়ে যেতে চাই। এমনকি প্রতি ঘণ্টায় এই বার্তা আপনাদের পৌঁছে দিতে চাই। এটি সেই বার্তা, যা আমি  আমাদের আলোচনার মধ্যে নিয়ে এসেছি। যখন আমি ইসরায়েলের নবগঠিত জাতীয় জরুরি সরকারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করব তখনো এই বার্তা তাদের দেব।

আমরা ইসরায়েলের নবগঠিত জাতীয় জরুরি সরকার, তাদের ঐক্য এবং সংকল্পকে স্বাগত জানাই।’

 

এদিকে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের চলমান সংঘাতের মধ্যে ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্লিনকেন বলেন, ‘আমরা আমাদের কথা রাখব। অন্য সব প্রতিরক্ষা সামগ্রীর পাশাপাশি ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য প্রয়োজনীয় গোলাবারুদ সরবরাহ করব। মার্কিন সামরিক সহায়তার প্রথম চালান ইতিমধ্যে ইসরায়েলে পৌঁছেছে এবং আরো অনেক কিছু পৌঁছনোর অপেক্ষায় আছে।

ইসরায়েলে সব প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহের পাশাপাশি আমরা কংগ্রেসের সঙ্গেও কাজ করব, যাতে সব সরবরাহ নিশ্চিত হয়। ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য আমাদের কংগ্রেসে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।’ 

 

তিনি আরো বলেন, ‘আমি পুনরায় সতর্ক করে বলছি, ইসরায়েলের এই সংকটের মুহূর্তে যারা সুযোগ নেওয়ার কথা ভাবছেন তারা সাবধান। কারণ ইসরায়েলের পেছনে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আমরা পূর্ব ভূমধ্যসাগরে বিশ্বের বৃহত্তম বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন করেছি। আমরা এই অঞ্চলে মার্কিন যুদ্ধবিমানের উপস্থিতি জোরদার করেছি। আমরা অন্যান্য সব সহায়তা প্রদান করব ইসরায়েলকে। শুধু তা-ই নয়, হামাসের হাতে জিম্মি হওয়া নারী, পুরুষ, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের উদ্ধারের জন্য ইসরায়েলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাব। সংঘাতের বিস্তার রোধ করার জন্য আমরা সমগ্র অঞ্চলে নিবিড় পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাব।’

যেসব দেশে সফর করবেন ব্লিনকেন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন ইসরায়েল, জর্দান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর সফর করবেন। ১১-১৫ অক্টোবর পর্যন্ত তিনি এই সফর করবেন। সফরে তিনি বিভিন্ন দেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন