পশ্চিমতীরে গাজার পক্ষে সমাবেশ, ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নিহত ৯

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিমতীরে শুক্রবার যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার সঙ্গে সংহতি প্রকাশের সমাবেশে ইসরায়েলি বাহিনী গুলি চালিয়েছে। এতে অন্তত ৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এএফপির সংবাদদাতা ও একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা রামাল্লা, নাবলুস, তুলকারেম, হেবরন ও অন্যান্য শহরে সংঘর্ষের কথা জানিয়েছেন। দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের ব্যাপক আক্রমণ সর্বাত্মক যুদ্ধে পরিণত হওয়ার প্রায় এক সপ্তাহ পর এ ঘটনা ঘটল।

 

অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা থেকে হামাস যোদ্ধারা শনিবার ভোরে আক্রমণ শুরুর পর থেকে ইসরায়েলও গাজায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাচ্ছে। এতে দুই পক্ষের প্রায় তিন হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। এ ছাড়া শনিবার থেকে ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত সম্পর্কিত সহিংসতায় পশ্চিমতীরে অন্তত ৪৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

শুক্রবার বিকেল নাগাদ মন্ত্রণালয় পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি বাহিনীর বুলেটে ৯ জন নিহত এবং একাধিক স্থানে প্রায় ১৩০ জন আহত হওয়ার কথা জানিয়েছে।

আহতদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

 

রামাল্লার উত্তর দিকের প্রবেশপথে এএফপির একজন ফটোগ্রাফার ইসরায়েলি বাহিনীর দিকে ফিলিস্তিনিদের ঢিল ছুড়তে এবং জ্বলন্ত টায়ার থেকে কালো ধোঁয়া উঠতে দেখেছেন। উত্তরের শহর নাবলুসেও একই রকম দৃশ্য ছিল। সেখানেও ফিলিস্তিনিরা সমাবেশ করেছে, কেউ কেউ রকেটের মডেল প্রদর্শন করেছে।

হেবরনসহ পশ্চিমতীরের দক্ষিণাঞ্চলের উভয় শহরেই ফিলিস্তিনিরা হামাসের পতাকা নেড়েছে। ‘গাজায় অবরোধ প্রত্যাহার করুন’ এবং ‘গাজায় চলমান গণহত্যা বন্ধ করুন’ লেখা ব্যানার বহন করা হয়েছে।

 

এদিকে ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি বলেছে, স্থানীয় সময় বিকেল ৪টার মধ্যে তাদের চিকিৎসকরা পূর্ব জেরুজালেমসহ পশ্চিমতীরে ২৩৯ জনকে চিকিৎসাসেবা দিয়েছেন। হতাহতদের মধ্যে ৭৩ জন বন্দুকের গুলিতে আহত এবং ১৩৭ জন টিয়ার গ্যাসে অসুস্থ হয়েছেন।

নিহতদের মধ্যে অন্তত তিনজন তুলকারেমে ছিলেন বলে জানা গেছে।

নাবলুসের কাছে বেইট ফুরিক শহরে ১৪ বছর বয়সী এক ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে বলে একটি হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পৃথক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বেত উলা, তাম্মুন, বেথেলহেম ও হেবরনেও মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।

 

১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল সংঘর্ষের পর থেকে ইসরায়েল পশ্চিম তীর দখল করে আছে এবং গাজা যুদ্ধের কয়েক মাস আগে এই অঞ্চলে সহিংসতা বেড়েছে। ফিলিস্তিনি শহরগুলোতে বারবার মারাত্মক সামরিক অভিযান চালানো হয়েছে। সেই সঙ্গে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন