বিএনপি যেন কোনো অশুভ পদক্ষেপের মাধ্যমে আগামী জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে না পারে সেজন্য দেশবাসীকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, যেভাবে হোক নির্বাচন এদেশে হবেই এবং জনগণ স্বাধীনভাবে ভোট দেবে।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর কাওলায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। গত ৭ অক্টোবর এই সভা হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তারিখ পেছানো হয়।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা নাকি আমাদের উৎখাত করে দেবে। সময় দিয়েছিল ১০ ডিসেম্বর। বিজয়ের মাসে আওয়ামী লীগ সরকারকে উৎখাত করবে? যে সরকার জনগণের রায় নিয়ে বারবার নির্বাচিত হয়েছে। দেশের মানুষ এটা মেনে নিতে পারে না।
আলোচিত এক এগারোর সময়ের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, সেই সময় মুচলেকা দিয়ে খালেদা জিয়ার ছেলে বিদেশে পালিয়ে যায়। যে নাকি জীবনে আর রাজনীতি করবে না। কিন্তু যে টাকা সে পাচার করেছে, সেই মামলায় এফবি আই সাক্ষ্য দিয়ে গিয়েছিল। সে ওই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত।
তাদের ব্যবসা ছিল অস্ত্র চোরাকারবারি, অর্থ পাচারকারী।'
লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, তার মা তো অসুস্থ। আপনারা (বিএনপির নেতারা) অনশন করেন। তাহলে ছেলে কেন মাকে দেখতে আসে না। এটা কেমন ছেলে, সেটা আমার প্রশ্ন।
মা-তো অসুস্থ মরে মরে। সে নাকি যখন তখন মরে যাবে।... হ্যাঁ, তাঁর বয়সও হয়েছে, অসুস্থও বটে। মাকে দেখতে আসে না কেন? আমিতো বলবে, মাকে দেখতে আসুক।'
২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, গ্যাস বিক্রির প্রস্তাব আমার কাছেও এসেছিল। বলেছিলাম, আমি শেখ মুজিবের মেয়ে দেশের স্বার্থ কখনও বেচি না। ক্ষমতার লোভ আমার নেই। খালেদা জিয়া এসে গ্যাস তো দিতেই পারেনি, উল্টো বাংলাদেশকে পাঁচবার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ান করেছে। আর বিদেশ থেকে টাকা এসেছিল এতিমখানার জন্য, এতিম একটা টাকাও পায়নি, সব টাকা মেরে দিয়েছেন নিজে।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জানি না বিএনপি নির্বাচনে আসবে কিনা। কারণ তাদের নেতা কে? তারা নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্র করবে। দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে। উন্নয়ন চাইলে নৌকায় ভোট দিন। কেউ কি বিএনপির কথায় নাচবে? তাদের কথায় চলবে? তারা তো উন্নয়ন করে না। তারা ধ্বংস করে।
শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় থাকতে সে বলেছিল আওয়ামী লীগ ১০০ বছরেও ক্ষমতায় আসতে পারবে না। বলেছিল, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী দূরে থাক, বিরোধী দলীয় নেতাও হতে পারবে না। আল্লার মাইর দুনিয়ার বাইর; এখন তিনি না প্রধানমন্ত্রী, না বিরোধী দলীয় নেত্রী। কিছু হতে পারেননি। দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মান্নান কচি প্রমুখ।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন