ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের বিরুদ্ধে বুধবার মার্কিন ক্যাপিটলে বিক্ষোভ করায় অন্তত ৩০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরো গ্রেপ্তার প্রক্রিয়া করা হলে এই সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া একজন পুলিশ সদস্যকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের অধিকাংশকে ক্যানন হাউস অফিস বিল্ডিংয়ের ভেতরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যেখানে বিক্ষোভের অনুমতি নেই।
বিক্ষোভকারীরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কংগ্রেসকে গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভটি দুটি বামপন্থী ইহুদি প্রচারাভিযান গোষ্ঠী সংগঠিত করেছে—ইহুদি ভয়েস ফর পিস এবং ইফ নট নাউ, যারা ইসরায়েল রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সমর্থন করে।
বিক্ষোভকারীদের একটি বড় দল রাস্তায় হাঁটার কারণে এদিন পুলিশ ক্যাপিটল কমপ্লেক্সের চারপাশের রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেয়। কিছু দল তখন ক্যানন হাউস অফিস বিল্ডিংয়ের একটি অংশ দখল করে, যা কংগ্রেসের কর্মীরা ব্যবহার করেন।
আরো শত শত লোক ভবনের বাইরে জড়ো হয়, সেখানে তারা হিব্রু ও ইংরেজি ভাষায় গান গায়।
ভেতরে যারা ছিল তারা কালো টি-শার্ট পরা ছিল, যাতে লেখা ছিল ‘ইহুদিরা এখনই যুদ্ধবিরতি চায়’ এবং ‘আমাদের নামে (যুদ্ধ) নয়’। অন্যরা ‘যুদ্ধবিরতি’ লেখা ব্যানার প্রদর্শন এবং গান গেয়েছে।
ক্যাপিটল পুলিশ বাহিনী স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে বলেছে, আমরা বিক্ষোভ বন্ধ করতে বিক্ষোভকারীদের সতর্ক করে দিয়েছিলাম।
তারা না মানায় আমরা তাদের গ্রেপ্তার করতে শুরু করি।
ক্যাপিটলে একজন প্রতিবাদ সংগঠক মেগাফোন ব্যবহার করে ‘সমতা, ন্যায়বিচার ও স্বাধীনতা’ স্লোগান দেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক নারী বলেন, ‘প্রকৃত নিরাপত্তার একমাত্র পথ...উত্তেজনা হ্রাস এবং এই ভয়াবহ সহিংসতার মূল কারণগুলো সমাধান করা।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন যেদিন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সঙ্গে দেখা করতে ইসরায়েলে অবতরণ করেছেন, সেদিনই এই বিক্ষোভ হলো। বাইডেন সফরের সময় বলেছেন, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার জন্য ইসরায়েলের পাল্টা আঘাত করার অধিকার রয়েছে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন