ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের অতর্কিত হামলার পর থেকেই উত্তপ্ত ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি। এই হামলার পক্ষে-বিপক্ষে দুই ভাগে বিভক্ত সবাই। এই অতর্কিত হামলা ও পরবর্তী সময়ে ইসরায়েলের পাল্টাহামলা প্রসঙ্গে তারকারাও নিজেদের আওয়াজ তুলেছেন। হলিউড, বলিউড থেকে শুরু করে বিশ্বের অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় তারকারা নিজ নিজ জায়গা থেকে সমর্থন ও নিন্দা করছেন এই যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিস্থিতির।
কেউ কেউ প্রকাশ্যে সহমর্মিতা প্রকাশ করে সমর্থন করছেন ইসরায়েলকে। কেউ কেউ সমর্থন জানাচ্ছেন ফিলিস্তিনিদের।
এবার ইসরায়েল-ফিলিস্তিনি চলমান সংকটের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন আমেরিকান পপ তারকা ম্যাডোনা। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা কাটিয়ে সম্প্রতি মঞ্চে ফিরেছেন এই গায়িকা।
আর ফিরেই লন্ডনের ০২ এরিনায় সেলিব্রশন ট্যুরের কনসার্ট শুরু করেন গায়িকা। নতুন উদ্যমে মাতিয়েছেন দর্শক-শ্রোতা। আর কনসার্ট চলাকালীন বর্তমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ নিয়েও কথা বলেছেন তিনি।
ইসরায়েল-হামাস সংঘাতকে ধ্বংসাত্মক উল্লেখ করে ক্ষতিগ্রস্ত নিরীহ জীবনের প্রতি মমত্ববোধ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এই পপকুইন।
অশ্রুসিক্ত চোখে ম্যাডোনা নৃশংসতার প্রতিবাদ করেছেন। শিশুদের প্রতি ভয়াবহ সহিংসতার ঘটনায় তিনি শোক প্রকাশ করেছেন।
মঞ্চে ম্যাডোনা জানান, ‘ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের মধ্যে এখন যা ঘটছে তা হৃদয়বিদারক। এ সময় কণ্ঠ ভারী হয়ে আসে গায়িকার। তিনি আরও বলেন, “আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় আসলে আমার খুব খারাপ লাগে।
আমি দেখছি শিশুদের অপহরণ করা হচ্ছে, মোটরসাইকেল থেকে টেনে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নিরাপরাধ শিশুদের গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে। মানুষ কিভাবে একে অপরের প্রতি এত নিষ্ঠুর হতে পারে? এটা আমি ভয় পাই।”
লন্ডনের কনসার্টে ম্যাডোনা
বিখ্যাত লেখক জেমস বাল্ডউইনের কাছ থেকে অনুপ্রেরিত হয়ে ম্যাডোনা বলেন যে, পৃথিবীর শিশুরা সবাই সমান। নিজের বক্তব্যে শিকাগোতে একটি সাম্প্রতিক মর্মান্তিক ঘটনার উল্লেখ করেন গায়িকা যেখানে ছয় বছর বয়সী বালক ওয়াদে আল-ফায়ুমকে তার ধর্মের কারণে নৃশংসভাবে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। ম্যাডোনা এটিকে ঘৃণামূলক অপরাধ হিসাবে চিহ্নিত করেন। এমন অন্ধকারের মধ্যেও তিনি মানুষকে তাদের মানবতা ধরে রাখার আহ্বান জানান।
মানবতার কাজে আহ্বান করে ম্যাডোনা তার ভক্তদের উৎসাহিত করে বলেন, “আমরা সবাই মোমবাতি; আমরা পৃথিবীতে আলো আনতে পারি। আমরা যদি যথেষ্ট আলো জ্বালাই, উদারতা এবং ঐক্যের সম্মিলিত চেতনা বদলে যাবে। কোনো রাজনীতিবিদ, কোনো আইন, কোনো নিষেধাজ্ঞা, কোনো ভূমি দেওয়া বা নেওয়া নিয়ে সংঘাত বাধবে না। আমরা আমাদের চেতনা দিয়ে পৃথিবীকে পরিবর্তন করতে পারি।”
জুন মাসে হঠাৎ করেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন ম্যাডোনা যার কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরও বাড়িতে শয্যাশায়ী ছিলেন ম্যাডোনা। ক্রমাগত বমি করেছেন। তবে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠেন গায়িকা। পপতারকার সঙ্গে ছিলেন তার এক মেয়ে ও দুই ছেলে। চিকিৎসকরা বলেছেন, ৬৮ বছর বয়সে এসেও মঞ্চ মাতাচ্ছেন, ওয়ার্ল্ড ট্যুর করে বেড়াচ্ছেন ম্যাডোনা। তাই শরীরের উপর অতিরিক্ত ধকল যাচ্ছে গায়িকার। যার ফলে তিনি আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অবশেষে সুস্থ হয়ে মঞ্চে ফিরলেন গায়িকা।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন