কায়রোতে শান্তি সম্মেলন, গাজায় যুদ্ধবিরতির আবেদন গুতেরেসের

জাতিসংঘের প্রধান আন্তোনিও গুতেরেস শনিবার ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধে ‘মানবিক যুদ্ধবিরতির’ আবেদন করেছেন। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী ‘এই ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের অবসানে পদক্ষেপ নেওয়ার’ দাবি জানিয়েছেন তিনি।

যুদ্ধের তৃতীয় সপ্তাহে কায়রোতে একটি শান্তি সম্মেলনে ভাষণ দিতে গিয়ে গুতেরেস আরো বলেন, ২.৪ মিলিয়ন মানুষের ছোট্ট ফিলিস্তিনি ছিটমহল ‘একটি মানবিক বিপর্যয়ের’ মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে এবং এক মিলিয়নেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

কায়রোতে ‘শান্তির জন্য শীর্ষ সম্মেলনে’ অনেক আরব নেতা উপস্থিত ছিলেন।

 

যুদ্ধ শুরুর পর দক্ষিণ গাজায় প্রথমবারের মতো ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশের কয়েক ঘণ্টা পরই জাতিসংঘ মহাসচিবের এ মন্তব্য এলো। গুতেরেস বলেছেন, আরো অনেক সাহায্য পাঠানোর মাধ্যমে কার্যক্রমটি দ্রুত বাড়ানো দরকার। ফিলিস্তিনিদের প্রয়োজনীয় মাত্রায় গাজায় ক্রমাগত ত্রাণ সরবরাহ করা প্রয়োজন।

 

 

বর্তমান রক্তপাত শুরু হয়েছিল ৭ অক্টোবর। হামাস যোদ্ধারা গাজা সীমান্ত পেরিয়ে ইসরায়েলে প্রবেশ করে এমন একটি আক্রমণ শুরু করে, যা ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলি মাটিতে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। এতে কমপক্ষে এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছে, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক।

অন্যদিকে গাজার হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েল অবিরাম বোমা হামলা চালিয়ে পাল্টা আঘাত করেছে।

এতে চার হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, প্রধানত বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে।

 

সহিংসতা বন্ধের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা সামান্য অগ্রগতি করেছে। ঐতিহাসিকভাবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে প্রধান মধ্যস্থতাকারী কায়রো যুদ্ধের এক সপ্তাহে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। তারা ‘সংযম’ করা এবং শান্তি আলোচনায় ফেরার আহ্বান জানিয়েছে, যা বছরের পর বছর ধরে হিমায়িত হয়ে আছে।

কূটনৈতিক প্রচেষ্টা এখন পর্যন্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলে মানবিক সহায়তা পৌঁছনোর দিকে মনোনিবেশ করেছে, যেখানে ইসরায়েল সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করেছে, পানি, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করেছে।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন