ফের নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা সু চি’র

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ও মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি নভেম্বরের নির্বাচনে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের ইচ্ছার কথা জানান তিনি।

 

সম্প্রতি করোনার মধ্যেই মিয়ানমারে জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক হয়। ১ জুলাই দেশটির নির্বাচন কমিশন জানায়, আগামী ৮ নভেম্বর নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

‘গণতন্ত্রের জন্য লড়াই’ চালিয়ে নোবেল জেতা সু চি ২০১৫ সালে ক্ষমতার কেন্দ্রে যান। কিন্তু পরে জেনারেলদের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে বাধ্য হন।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে দেশটির সেনাবাহিনী। নির্বিচার হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন থেকে বাঁচতে পরের কয়েক মাসে লাখ-লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। এই ঘটনায় সু চির নীরব ভূমিকা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমালোচনা সৃষ্টি করে। তাকে দেওয়া সম্মানজনক ডিগ্রি কেড়ে নেয় বহু খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়। কানাডায় তার সম্মানসূচক নাগরিকত্ব বাতিল করে দেশটির পার্লামেন্ট।

মিয়ানমারে সু চির অবস্থা সেই আগের মতো নেই। দীর্ঘ সেনাশাসনের পর বহুদলীয় নির্বাচনী গণতন্ত্রের সূচনা দেশটিতে বেশি দিনের নয়। এক দশক বয়স হয়নি রাজনৈতিক সংস্কৃতির। তারপরও দেশটিতে রাজনৈতিক দলের সংখ্যা প্রায় ১০০।

দেশটিতে নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত দলের সংখ্যা প্রায় ৯৫। গত নির্বাচনেও ৯১টি দল অংশ নেয়। অধিকাংশই আঞ্চলিক দল। জাতীয় পর্যায়ে প্রধান দল দুটি। সু চির এনএলডি বা ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি এবং তার প্রতিপক্ষ ইউএসডিপি (ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি)।

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন