হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত না করা সত্ত্বেও সুইস বিচার বিভাগ সুইজারল্যান্ড থেকে হামাসের সম্ভাব্য অর্থায়নের বিষয়ে তদন্ত করছে বলে শনিবার দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন।
সুইস পাবলিক রেডিও স্টেশন এসআরএফে সুইস অ্যাটর্নি জেনারেল স্টিফান ব্লেটলার বলেন, ইসরায়েলে ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার ‘বেশ কয়েক সপ্তাহ’ আগে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে তিনি আর কোনো বিস্তারিত তথ্য দেননি।
অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় পরে জানায়, ‘সুইজারল্যান্ড থেকে হামাসকে অর্থায়নের সন্দেহে’ তদন্ত শুরু করা হয়েছিল।
এদিকে তদন্তটি কষ্টকর হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো সুইজারল্যান্ড হামাসের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। কিন্তু হামলার পর থেকে সুইস সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান আহ্বানগুলো প্রতিক্রিয়া জানাতে প্ররোচিত করেছে।
হামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠিত একটি মধ্যপ্রাচ্য টাস্কফোর্সকে ইসলামপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করার বিকল্পগুলো খুঁজে দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, যদিও সরকার এ বিষয়ে কোনো সময়সীমা দেয়নি।
হামলার দুই দিন পর সুইস প্রেসিডেন্ট ইগনাজিও ক্যাসিস যুক্তি দিয়েছিলেন, সরকার কেবল সেই সংস্থাগুলোকে নিষিদ্ধ করতে পারে, যেগুলোকে জাতিসংঘও নিষিদ্ধ করেছে। ফলস্বরূপ, শুধু আল-কায়েদা ও ইসলামিক স্টেটের পাশাপাশি কয়েকটি সংশ্লিষ্ট সংগঠন বর্তমানে সুইজারল্যান্ডে নিষিদ্ধ। সুইস সংসদে হামাসকে নিষিদ্ধ করার সব প্রচেষ্টা এখন পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে, কিন্তু নিম্নকক্ষের একটি কমিটি সম্প্রতি একটি নতুন প্রস্তাব পেশ করেছে।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, হামাস যোদ্ধারা দুই সপ্তাহ আগে গাজা উপত্যকা থেকে ইসরায়েলে প্রবেশ করে হামলা চালালে কমপক্ষে এক হাজার ৪০০ জন নিহত হয়, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক ছিল।
অন্যদিকে গাজায় হামাসের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে গাজা উপত্যকায় চার হাজার ৩০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি মারা গেছে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন