ইরাক থেকে সব কূটনীতিক ফিরিয়ে আনছে যুক্তরাষ্ট্র, ইরান নিয়েও সতর্কতা

মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রবিবার ইরাক থেকে তাদের সব কূটনীতিককে দেশে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কেবলমাত্র আপতকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলার সঙ্গে যারা যুক্ত, তারা ইরাকে থাকবেন বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। মার্কিন নাগরিকদের ইরাকে যেতেও নিষেধ করা হয়েছে। ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার প্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।

 

 

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো একটি নির্দেশিকা জারি করেছে দেশের নাগরিকদের জন্য। তাতে বলা হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে কোনো নাগরিক যেন ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা না করে।

ইরাকে ইতিমধ্যে মার্কিন প্রতিনিধিদের ওপর আক্রমণ হয়েছে বলে ওই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। সে কারণেই সেখান থেকে কূটনীতিক ও কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

 
যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, গোটা মধ্যপ্রাচ্য ঘিরেই যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ওপর হামলার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। ইরাকে একাধিক গোষ্ঠী মার্কিনদের ঐপর আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছে বলে দাবি।

 

ইরান নিয়েও সতর্কতা
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন সম্প্রতি জানিয়েছেন, ইসরায়েল-গাজা সংঘাতকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে ইরান।

লেবাননে হিজবুল্লাহ গোষ্ঠীকে ইরান সমর্থন করে বলে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি।

সেই হিজবুল্লাহ হামাসের সমর্থনে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে তারাও সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে। ইরানের মদতেই এই ঘটনা ঘটছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের দাবি।

 

এ ছাড়া ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদেরও ইরান মদত দেয় বলে অভিযোগ। সম্প্রতি তারাও মার্কিন যুদ্ধজাহাজে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ।

যদিও প্রতিটি ক্ষেপণাস্ত্র যুক্তরাষ্ট্র ধ্বংস করেছে।

 

রবিবার ব্লিনকেন বলেছেন, ''ইরান সমর্থিত বিভিন্ন গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের ওপর আক্রমণের চেষ্টা চালাতে শুরু করেছে। তাদের চেষ্টা যাতে বিফল হয়, তার সব ব্যবস্থা আমরা করছি।''

বস্তুত ব্লিনকেন 'ইরানের প্রক্সি' শব্দটি ব্যবহার করেছেন তার বক্তব্যে। তিনি জানিয়েছেন, মার্কিন নাগরিকদের রক্ষা করার সব দায়িত্ব সরকার পালন করবে। সে কারণেই ওই গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরু হওয়ার পরই ওই অঞ্চলে অনেক সেনা মোতায়েন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দুইটি বিমানবাহী রণতরি ওই অঞ্চলের সমুদ্রে পাঠানো হয়েছে। পেন্টাগন জানিয়েছে, ওই এলাকায় প্রায় দুই হাজার মেরিন ফোর্সও মজুদ করা হয়েছে। ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুক্ত হয়নি। কিন্তু ওই অঞ্চলে সেনা পাঠিয়ে দেশটি সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন