টাওয়ার হ্যামলেটস বারায় নবনির্মিত আরো ৩টি হাউজিং ব্লক এখন তাঁর বাসিন্দাদের স্বাগত জানাতে পুরোপুরি প্রস্তুত। বিভিন্ন সাইজের ৫৩ টি ফ্ল্যাট বিশিষ্ট ৩টি আবাসিক ভবনের নির্মান কাজ সম্পন্ন হওয়ার মধ্য দিয়ে চার বছরে চার হাজার বাড়ি নির্মানের প্রতিশ্রম্নতি পূরণের পথে কাউন্সিল আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো।
বেথনাল গ্রীনের কলিংউড এস্টেটের বার্নসলি স্ট্রিটে নবনির্মিত ৩টি টাওয়ার ব্লকে ৫৩ টি ফ্ল্যাটের সবগুলোই শতভাগ সোশ্যাল রেন্টেড এবং রয়েছে অনেকগুলো ৩ থেকে ৫ বেডরুমের ফ্ল্যাট, যা বড় পরিবারগুলোকে একসাথে বসবাসের সুযোগ নিশ্চিত করবে।
উল্লেখ্য, কাউন্সিল নিজস্ব ভূমিতে নিজস্ব অর্থায়নে শতভাগ সোশ্যাল রেন্টেড ফ্ল্যাট নির্মানে অতি সম্প্রতি ৮৪ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ করেছে এবং আরও কিছু গৃহনির্মান প্রকল্পের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের বিষয়টি পাইপলাইনে রয়েছে। নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমানের নির্বাচনী প্রতিশ্রম্নতি ৪ বছরে ৪ হাজার বাড়ি নির্মানের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য কাউন্সিল হাউজিং এসোসিয়েশন ও প্রাইভেট হাউজিং কোম্পানীগুলোর সাথে পার্টনারশীপের ভিত্তিতে কাজ করে যাচ্ছে।
টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান ২৩ অক্টোবর সোমবার কাউন্সিলের হাউজ বিল্ডিং বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলর কবির আহমদ সহ কাউন্সিলের উর্ধতন কর্মকর্তা ও কাউন্সিলরবৃন্দদের সাথে নিয়ে নবনির্মিত এই হাউজিং ব্লক তিনটি উদ্বোধন করেন।
এসময় তিনি বিল্ডিং তিনটির বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন। মেয়র লুৎফুর রহমান হাউজিং অফিসার, নির্মানকারী ঠিকাদারী কোম্পানীর পদস্থ কর্মকর্তা, স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলেন এবং ভবনের বিভিন্ন সুবিধাদি ঘুরে দেখেন।
আবাসন ভবন পরিদর্শন শেষে তিনি নবনির্মিত কলিংউড এস্টেট কমিউনিটি সেন্টারটির বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন এবং এস্টেটের কমিটি মেম্বারদের সাথে সাক্ষাত করেন।
এসময় মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন, হাউজিং হচ্ছে আমার কাছে সবচেয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত। প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা ঘর—বাড়ির জন্য ভীষণভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন, যা আমাকেও কষ্ট দেয়। হাউজিং সংকট মোকাবেলায় আমরা কাউন্সিল হিসেবে আমাদের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব হচ্ছে, আমরা তা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ডেভেলপমেন্ট পার্টনারদের সাথে মিলে বাড়ি—ঘর নির্মানের চলমান প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা হচ্ছে। এছাড়া কাউন্সিলের মালিকানাধীন ফ্ল্যাট নির্মানে অতি সম্প্রতি প্রায় ৮৪ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ করা হয়েছে। এই খাতে আরো অর্থ বরাদ্দ করার বিষয়টি পাইপলাইনে
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এই সেন্টারটির নির্মান কাজ শুরু হয় এবং ঐ বছরের নভেম্বর মাসেই এটি হস্তান্তর করা হয়। এর ফলে ওরিঅন হাউজের শেষাংশ ব্লক এ এবং সির নির্মান কাজ শুরু করার পাশাপাশি মূল ভবনের নির্মান কাজ ২০২০ সালের মার্চ মাসে শুরু করা সম্ভব হয়। ২০২৩ সালে জুলাই মাসে বাচ্চাদের খেলাধূলার নির্ধারিত এলাকা ও পেছনের কোর্টইয়ার্ডটি খুলে দেয়া হয়। আবাসিক ইউনিটের চাবিগুলো টাওয়ার হ্যামলেটস্ কাউন্সিলকে নভেম্বর মাসের শুরুতেই হস্তান্তর করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পরিদর্শনকালে মেয়র লুৎফুর রহমান বলেন, হাউজিং হচ্ছে আমার কাছে সবচেয়ে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত খাত। প্রায় ১৫ হাজার বাসিন্দা ঘর—বাড়ির জন্য ভীষণভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন, যা আমাকেও কষ্ট দেয়। হাউজিং সংকট মোকাবেলায় আমরা কাউন্সিল হিসেবে আমাদের পক্ষে যতটুকু করা সম্ভব হচ্ছে, আমরা তা করে যাচ্ছি।
তিনি বলেন, ডেভেলপমেন্ট পার্টনারদের সাথে মিলে বাড়ি—ঘর নির্মানের চলমান প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা হচ্ছে। এছাড়া কাউন্সিলের মালিকানাধীন ফ্ল্যাট নির্মানে অতি সম্প্রতি প্রায় ৮৪ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ করা হয়েছে। এই খাতে আরো অর্থ বরাদ্দ করার বিষয়টি এখন পাইপলাইনে রয়েছে।
কলিংউড এস্টেটের নবনির্মিত আবাসিক ভবন পরিদর্শনকালে মেয়র লুৎফুর রহমানের সাথে ছিলেন লীড মেম্বার ফর রিজেনারেশন, ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট এন্ড হাউজ বিল্ডিং কাউন্সিলর কবির আহমদ, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মুশতাক আহমেদ ও কাউন্সিলর আমিন রহমান, কাউন্সিলের প্রজেক্ট ম্যানেজার এন্ড্রু উডওয়ার্ড ও প্রিন্সিপাল প্রজেক্ট ম্যানেজার এনামুল গনি, এবং ফিল স্যাডলার এর নেতৃত্বে কলিংউড এস্টেট কমিটির সদস্যবৃন্দ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন