জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল মঙ্গলবার হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে তিনি বলেছেন, ‘ইসরায়েলে হামাসের হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ‘গণহত্যা’ কোনোভাবেই ন্যায়সঙ্গত নয়।’
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার দিনব্যাপী বৈঠকে জাতিসংঘের মহাসচিবসহ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, আরব দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং চীন, রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন। তারা উল্লেখ করেন, ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকের হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে এবং গাজায় মানবিক পরিস্থিতির দ্রুত অবনতি ঘটছে।
বৈঠকে বেশ কয়েকজন বক্তা হামাসের নিন্দা করেছেন। মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়ে আটক সব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের আহ্বানে সাড়া দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং মঙ্গলবার এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে গাজায় ত্রাণ সরবরাহ ও বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য ‘মানবিক বিরতির’ আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, এটি পুরো অঞ্চলের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য এমনকি ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে এই যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন এফ কিরবি মঙ্গলবার বলেছেন, যুদ্ধবিরতি হলে শুধুই হামাসের উপকার হবে।
কিরবি বলেছেন, মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখার জন্য প্রশাসন সংঘাতের বিরতিকে সমর্থন করে।
তবে গাজায় হামাসকে পরাজিত করার চেষ্টায় বেসামরিক হতাহতের ঘটনা অনিবার্য।
হামলা জোরদার
মানবিক সহায়তা বাড়ানোর আলাপের মাঝেই মঙ্গলবার গাজায় বোমা বর্ষণ জোরদার করেছে ইসরায়েল। এতে হতাহতের সংখ্যা আরো বেড়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, গত দুই দিনে তারা গাজায় ৭০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। আর হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার বসতবাড়ি, শরণার্থীশিবির ও অন্যান্য স্থানে হওয়া হামলায় ৭০৪ জন নিহত হয়েছে।
যা এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এ হিসাব স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন