চীনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং ৬৮ বছর বয়সে মারা গেছেন বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে। গত বছর অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি ক্ষমতাসীন চীনা কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় শক্তিশালী ব্যক্তি ছিলেন। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপর তিনি সাংহাইতে ছিলেন।
তবে সুস্থ করার সর্বস্ব প্রচেষ্টা সত্ত্বেও শুক্রবার মধ্যরাতে মধ্যরাতে ১২টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান।
২০১৩ সাল থেকে প্রায় ১০ বছর চীনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন তিনি। মাত্র ১০ মাস আগে চীনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে অবসরে যান কেকিয়াং। অবসরে যাওয়ার আগপর্যন্ত তিনি ছিলেন চীনা ক্ষমতা কাঠামোর দ্বিতীয় শক্তিশালী ব্যক্তি।
লির ক্ষমতার প্রথাগত কোনও ভিত্তি না থাকা সত্ত্বেও দলীয় পদে উন্নীত হন এবং এক পর্যায়ে রাষ্ট্রপতির শীর্ষ ভূমিকার জন্যও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হন। তিনি একজন প্রশিক্ষিত অর্থনীতিবিদ এবং তিনি প্রাথমিকভাবে চীনের অর্থনীতির লাগাম টেনেছিলেন। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলেছেন, চীনের রাষ্ট্রপতি শি চিন পিং নিজের ক্ষমতা নেওয়ার পরেই লির ক্যারিয়ারে ধস নামে। তিনিই একমাত্র দায়িত্বশীল শীর্ষ কর্মকর্তা হয়েছিলেন, যিনি প্রেসিডেন্ট শির অনুগত গোষ্ঠীর অন্তর্গত ছিলেন না।
লিকে প্রাক্তন নেতা হু জিনতাওয়ের পাশেও দাঁড়াতে দেখা গেছে, যাকে চীনের প্রেসিডেন্ট শির নির্দেশে গত বছরের পার্টি কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। লির মৃত্যুতে অনলাইনে ব্যাপকভাবে শোক প্রকাশ করা হচ্ছে। চীনা সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘তাঁর মৃত্যুতে আমরা স্তম্ভিত।’ অভিজাত পিকিং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষিত এই নেতা। যিনি অর্থনৈতিক নীতিতে বাস্তববাদী হওয়ার জন্য পরিচিত ছিলেন।
যে নীতিগুলো সম্পদের ব্যবধান হ্রাস করা এবং সাশ্রয়ী মূল্যের আবাসন প্রদানের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একজন অধ্যাপক বার্ট হফম্যান বিবিসির নিউজডে প্রোগ্রামকে বলেছেন, ‘তিনি একজন অত্যন্ত উত্সাহী খোলামেলা মনের মানুষ ছিলেন। যিনি সত্যিই চীনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেছিলেন এবং জীবনের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনার সুবিধা দিয়েছিলেন।’
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন