গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ছয় হাজার ৭৪৭ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। যারা গত ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন নিহতের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করার পর গতকাল বৃহস্পতিবার এই তালিকা প্রকাশ করে হামাস। হামাসের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলের নিরলস বোমাবর্ষণে তাঁরা নিহত হয়েছেন।
তালিকায় দুই হাজার ৬৬৫ জন শিশুসহ নিহত প্রত্যেক ব্যক্তির নাম, বয়স, লিঙ্গ এবং আইডি নম্বর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফিলিস্তিনের মন্ত্রণালয় বলেছে, অতিরিক্ত আরো ২৮১ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কারণ মৃতদেহগুলো শনাক্ত করা যায়নি। যুদ্ধে মোট নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাত হাজার ২৮ জন।
প্রকাশিত তালিকায় তাদের নামও নেই, যাদের ধ্বংসস্তূপের নিচে থেকে এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাদের নিখোঁজ হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে। আরো এমন মৃত ব্যক্তিও আছেন, যাদের হাসপাতালে ভর্তি না করেই কবর হয়েছে এবং মৃত্যুর পর হাসপাতালগুলোতে নাম রেকর্ড করা হয়নি। সব মিলিয়ে নিহতের তালিকা আরো বড় হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কেন মৃতদের নাম প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা জানা জায়নি। কিন্তু বাইডেন ফিলিস্তিনিদের প্রকাশ করা ইসরায়েলি হামলায় নিহতদের সংখ্যার ওপর আস্থা রাখেন না, এমন মন্তব্য করার পরেই এই তালিকা প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ‘ফিলিস্তিনিরা নিহত হওয়ার যে সংখ্যা উল্লেখ করছে, তা সত্যি কি না, সে ব্যাপারে আমার ধারণা নেই। তাদের ওপর আমার কোনো আস্থা নেই। আমি নিশ্চিত যে নিরীহ মানুষ নিহত হচ্ছে।
তারা যুদ্ধের মূল্য দিচ্ছে।’
অন্যরা আংশিকভাবে ক্রমবর্ধমান মৃতের সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে, কারণ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় হামাসের তত্ত্বাবধানে রয়েছে। হামাস ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে ইসলামপন্থী রাজনৈতিক ও সশস্ত্র এই গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বিবেচনা করে আসছে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন