চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা প্রধান এবং সম্ভবত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনার জন্য শুক্রবার হোয়াইট হাউসে যাচ্ছেন। চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংয়ের দেশটিতে সম্ভাব্য সফরের প্রস্তুতির মধ্যে এ খবর এলো।
বাইডেন শিকে আগামী মাসে সান ফ্রান্সিসকোতে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপিইসি) সম্মেলনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তবে তিনি নিষেধাজ্ঞার ধারা বজায় এবং বেইজিংয়ের সঙ্গে মার্কিন মিত্রদের বিরোধে সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন।
হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, শীর্ষ চীনা কূটনীতিক ওয়াং ই বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভানের সঙ্গে বৈঠক করবেন, ‘দায়িত্বপূর্ণভাবে সম্পর্ক বজায়ের চলমান প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে’।
ওয়াং ও সুলিভান এর আগে সেপ্টেম্বরে মাল্টায় এবং মে মাসে ভিয়েনায় মিলিত হয়েছিলেন।
এদিকে হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা ওয়াং ও বাইডেনের মধ্যে বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেননি। তবে জুনে বেইজিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও শির সাক্ষাতের পর বৈঠকটি ব্যাপকভাবে প্রত্যাশিত।
এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, সুলিভান ওয়াং ইয়ের সঙ্গে এই আলোচনার জন্য উন্মুখ। এটি চীনের সঙ্গে যোগাযোগের পথ খোলা রাখার প্রচেষ্টার আরেকটি মাইলফলক।
তিনি আরো বলেন, ‘সুলিভানের জন্য এটি একটি সুযোগ হবে স্পষ্টতই উদ্বেগের ক্ষেত্রগুলোকে মোকাবেলা করার, যা আমরা চীনের কিছু আচরণের সঙ্গে অব্যাহত রেখেছি, বিশেষ করে দক্ষিণ চীন সাগরে। তবে এটি এমন উপায়গুলো খোঁজার একটি সুযোগও হবে, যাতে আমরা এই চ্যানেলগুলোকে উন্মুক্ত রাখতে পারি এবং সামরিক চ্যানেলে যোগাযোগ খোলার চেষ্টা করতে পারি, যা এখনো বন্ধ।
’
এর আগে ওয়াং বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ব্লিনকেনের সঙ্গে দেখা করে বলেছেন, তিনি ‘যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ক স্থিতিশীল করতে’ এবং বছরের পর বছর উত্তেজনার পর ‘ভুল বোঝাবুঝি কমাতে’ চান।
২০২২ সালের নভেম্বরে বালিতে একটি বৈঠকের পর থেকে চীনা ও মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল ও তার বাইরে প্রভাব বিস্তারের জন্য লড়াই করার কারণে বিশ্বের এ শীর্ষ দুই অর্থনীতির মধ্যে সম্পর্ক বছরের পর বছর ধরে উত্তেজনাপূর্ণ। বেইজিং মার্কিন আধিপত্য হ্রাস করতে রাশিয়ার সঙ্গেও সহযোগিতা বাড়িয়েছে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন