লন্ডনে হোমলেস হওয়ার অন্যতম বড় কারণ হলো ‘নো-ফলট এভিকশন’। অর্থাৎ ভাড়াটিয়ার কোনো দোষ না থাকলেও বাড়ির মালিক কর্তৃক ভাড়াটিয়াকে বের করে দেয়াকে ‘নো-ফলট এভিকশন’ বলা হয়। ইংল্যান্ডে ‘রেন্টারস রিফরম বিল’ নামে নতুন একটি আইন পার্লামেন্টে উত্থাপিত হয়েছে, যা আইন হিসেবে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এই আইন কার্যকর হলে নো-ফলট এভিকশন’ নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। অর্থাৎ, যখন-তখন চাইলেই ভাড়াটিয়াকে ঘর থেকে বের করে দিতে পারবেন না বাড়ির মালিক। লন্ডন মেয়র অফিস থেকে প্রকাশিত উপাত্ত থেকে জানা যায়, প্রতি সপ্তাহে লন্ডনের ২৯০ জন ভাড়াটিয়া ‘নো-ফলট এভিকশন’ এর শিকার হন। ২০১৯ সালে বর্তমান সরকার নো-ফলট এভিকশন’ নিষিদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ইংল্যান্ডে যতো নো-ফলট এভিকশন’ এর ঘটনা ঘটে, তাঁর এক তৃতীয়াংশ হয় লন্ডনে। প্রস্তাবিত ‘রেন্টারস রিফরম বিল’ পাশ করতে যদি আরও ছয় মাস বিলম্ব হয়, তবে লন্ডনের আরও ১৫ হাজার ভাড়াটিয়া উচ্ছেদের ঝুঁকিতে পড়বেন। প্রস্তাবিত ‘রেন্টারস রিফরম বিল’ অনুমোদনে বিলম্বের প্রতিবাদে সোমবার লন্ডনে ডাউনিং স্ট্রীটের বাইরে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন কয়েক শ মানুষ।
সাউথ লন্ডনের হ্যারিজ প্রাইমারি একাডেমী পেখাম পার্ক এর হেড টিচার মারিয়া। স্কুলের দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের খাবার খরচ, ইউনিফরমের খরচ, এমনকি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার যাবতীয় খরচ বহন করে থাকে স্কুল।
হ্যারিজ প্রাইমারি একাডেমী পেখাম পার্ক এর ৩শ শিক্ষার্থীর অধিকাংশই হোমলেস, যারা অস্থায়ী বাসাবাড়িতে গাদাগাদি করে বসবাস করে। হোমলেস শিশুরা স্বাভাবিক শিক্ষা অর্জনের পরিবেশ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অস্থায়ী আবাসনে মেয়েকে নিয়ে বসবাস করছেন এই স্কুলের শিক্ষার্থীর মা কেলি। তিনি জানান, স্কুলের স্টাফরা হোমলেস পরিবারগুলোকে নানাভাবে সহায়তা করেন।
স্কুলের স্পেশাল এডুকেশন নীডস কো-অরডিনেটর চেনটেলা বলেন, হোমলেস পরিবারগুলোর কষ্ট দেখে চুপচাপ থাকা কঠিন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন