ঘড়ির কাটায় ম্যাচের বয়স ৬ মিনিট পার হতে না হতেই অলিম্পিক স্টেডিয়ামে আসা স্বাগতিক দর্শকদের উল্লাসে মাতান ইকাই গুন্দোয়ান। রিয়াল মাদ্রিদের জালে বল পাঠিয়ে বার্সেলোনাকে লিড এনে দেন এই মিডফিল্ডার। তবে সেই লিড ধরতে রাখতে পারেনি কাতালানরা। দ্বিতীয়ার্ধে জুড বেলিংহামের দুর্দান্ত গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় রিয়াল মাদ্রিদ।
আর শেষ মুহুর্তে সেই বেলিংহামই জাল খুঁজে নিলে দারুণ জয় পায় রিয়াল।
চোট কাটিয়ে এ ম্যাচে বার্সেলোনা স্কোয়াডে ফেরেন রবার্ত লেভানদোস্কি ও রাফিনিয়া। কিন্তু দুজনকে নিয়ে ঝুঁকি নেননি জাভি এর্নান্দেস। তাদেরকে বেঞ্চে রেখে জোয়াও ফেলিক্স, ফেরান তোরেস, ফেরমিনদের ওপর আস্থা রাখেন বার্সা কোচ।
জাভির সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না তাঁর প্রমান মিলে যায় ছয় মিনিটেই গুন্দোয়ানের গোলে। ম্যাচের প্রথম আক্রমণেই গোল পায় স্বাগতিকরা। কাতালান ফরোয়ার্ডদের চাপে অরলিয়ে চুয়ামেনি গোলরক্ষকের উদ্দেশে ব্যাক পাস দেন, কিন্তু রিয়াল ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা বলের কাছে পৌঁছে ক্লিয়ারের চেষ্টা করলেও সেই বলের নিয়ন্ত্রণ নেন ইকাই গুন্দোয়ান। এরপর কেপাকে ফাঁকি দিয়ে বাকি কাজ সারেন তিনি।
বার্সেলোনার জার্সিতে এটাই তাঁর প্রথম গোল।
এগিয়ে গিয়ে আরও চড়াও হয়ে খেলেছে বার্সেলোনা। ১৬ মিনিটে ফেরমিন লোপেজের প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে ফিরলে ব্যবধান বাড়েনি বার্সার। বক্সের কোনা থেকে ফেরমিনের গতির শট রিয়াল গোলরক্ষক কেপাকে পরাস্ত করলেও পোস্টকে ফাঁকি দিতে পারেনি। বার্সা আক্রমণের বিপরীতে প্রথমার্ধে গোলের উদ্দেশে কোনো শট নিতে পারেনি রিয়াল।
তবে দ্বিতীয়ার্ধে ভিন্ন রিয়ালকে দেখা গেছে। ৬৮ মিনিটে রিয়ালের ত্রাতা হয়ে আসেন সেই জুড বেলিংহাম। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর নেওয়া বুলেট গতির শট জড়িয়ে যায় জালে। আর দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা দুই মিনিটে আবারও বেলিংহাম ঝলক। তাঁর গোলেই জয় নিশ্চিত করে রিয়াল মাদ্রিদ।
১০ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে রিয়াল। ২৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে বার্সেলোনা।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন