জনগণ ও সেনাদের মনোবল ধরে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন জেলেনস্কি

gbn

গ্রীষ্মকালীন সামরিক অভিযান চালিয়েও রুশ হানাদার বাহিনীর হাত থেকে বেশি জমি উদ্ধার করতে পারেনি ইউক্রেন। নিজস্ব অবকাঠামোর সুরক্ষা ও খোদ রাশিয়ার ভূখণ্ডে বিচ্ছিন্ন হামলার ক্ষেত্রে কিছু সাফল্য পেলেও মূল লক্ষ্য এখনো অধরা থেকে গেছে। তা সত্ত্বেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি অন্তত প্রকাশ্যে জোরালো মনোবল দেখাচ্ছেন।

জেলেনস্কির মতে, ইউক্রেনের লাগাতার হামলার ফলে কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার কৃষ্ণ সাগর নৌবহর কার্যত অকেজো হয়ে পড়ায় মস্কোর যুদ্ধের উদ্যোগ বিশাল ধাক্কা খেয়েছে।

বাকি বিশ্ব যে চটজলদি সাফল্য দেখতে চাইছে, তেমনটা না ঘটলেও সার্বিকভাবে রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করতে ইউক্রেন যথেষ্ট অগ্রসর হয়েছে বলে জেলেনস্কি দাবি করেন। তাঁর মতে, আরো আন্তর্জাতিক সহায়তা পেলে কৃষ্ণ সাগরের সাফল্য রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের জয়ে রূপান্তরিত হতে পারে।

 

দৈনিক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা এমন জগতে বাস করি, যেখানে দ্রুত সাফল্য অভ্যাসে পরিণত হয়।’ তিনি মনে করিয়ে দেন, রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার সময় গোটা বিশ্ব ভেবেছিল, ইউক্রেন টিকতেই পারবে না।

কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০ মাস পরও ইউক্রেন প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছে।

 

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমের একাংশে জেলেনস্কি ও তাঁর নিজস্ব টিমের মনোবল ভেঙে যাচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে।

পশ্চিমা বিশ্বের লাগাতার সহায়তার কারণে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেও ইউক্রেন যে মোক্ষম সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রয়োজনীয় অস্ত্র বা সামরিক সরঞ্জাম হাতে পাচ্ছে না, সে বিষয়ে জেলেনস্কি ও তাঁর সতীর্থদের মনে ক্ষোভ রয়েছে। তার ওপর মধ্যপ্রাচ্য সংকটের কারণে বিশ্বের মনোযোগ ইউক্রেন থেকে অনেকটা সরে যাওয়ার কারণে ইউক্রেনের নেতৃত্ব সহায়তা কমার আশঙ্কা করছেন।

গত বছরের মতো রাশিয়া শীতকালে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর ব্যাপক হামলা চালালে কতটা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে, সে বিষয়েও দুশ্চিন্তা বাড়ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কংগ্রেসে ইসরায়েল ও ইউক্রেনের জন্য সহায়তার যে প্যাকেজ অনুমোদনের চেষ্টা করছেন, রাজনৈতিক টানাপড়েনের কারণে সেই উদ্যোগ ব্যর্থ হলে বা মূল অঙ্ক কমানো হলে ক্ষতির আশঙ্কা করছে কিয়েভের সরকার।

 

রাশিয়ার সেনাবাহিনী কিছু ক্ষেত্রে হামলা ও প্রতিরোধ কমিয়ে দিলেও কয়েকটি জায়গায় বাড়তি চাপ সৃষ্টি করছে। আপাতত ইউক্রেনের পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব অংশে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ চলছে। বিশেষ করে আভদিভকা ও কুপিয়ানস্ক এলাকার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা দেখা যাচ্ছে।

রাশিয়া আরো সেনা ও সরঞ্জাম আনছে বলে স্থানীয় এক কমান্ডার জানিয়েছেন। বাখমুত শহরের কাছেও সংঘর্ষে রাশিয়া সাফল্যের দাবি করছে।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন