গাজায় যুদ্ধের জেরে লাতিন আমেরিকার প্রথম কোনো দেশ হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে বলিভিয়া। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক পদক্ষেপকে ‘আক্রমণাত্মক ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ’ হিসেবে বর্ণনার পাশাপাশি যুদ্ধবিরতির আহ্বান ও অবরুদ্ধ অঞ্চলে সহায়তা দেওয়ার কথাও জানিয়েছে দেশটি।
অন্যদিকে ইসরায়েলি কর্মকর্তা লিওর হায়াত বলেছেন, বলিভিয়ার এই পদক্ষেপ সন্ত্রাসবাদের কাছে আত্মসমর্পণ। বলিভিয়ার সরকার ‘সন্ত্রাসী সংগঠন হামাসের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত’ করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বলিভিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী ফ্রেডি মামানি জানান, গাজা উপত্যকায় সংঘটিত আগ্রাসী ও অসামঞ্জস্যপূর্ণ ইসরায়েলি সামরিক অভিযানের নিন্দায় তার সরকার এই সম্পর্ক ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মামানি বলেন, তার দেশ ইসরায়েলি অবরোধের অবসান চায়, যেই অবরোধের কারণে গাজায় খাদ্য, পানি ও জীবনধারণের অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছনো যাচ্ছে না।
উল্লেখ্য, কয়েক সপ্তাহ ধরে গাজা অবরোধ করে রেখেছে ইসরায়েল। মাঝে মাঝে মিসরের রাফাহ সীমান্ত দিয়ে সেখানকার মানুষের কাছে প্রয়োজনীয় সহায়তা পৌঁছচ্ছে।
ইসরায়েলের সঙ্গে বলিভিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশি দিনের নয়। ২০১৯ সালে তেল আবিবের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করে বলিভিয়া। এর আগে প্রেসিডেন্ট ইভো মোরালেসের শাসনামলে ২০০৯ সালে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছিল দেশটি।
গত সোমবার বলিভিয়ার প্রেসিডেন্ট লুইস আরসে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত মাহমুদ ইলালওয়ানির সঙ্গে সাক্ষাতের পর টুইটারে গাজায় ইসরায়েলি কার্যক্রমকে ‘যুদ্ধাপরাধ’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
এদিকে বলিভিয়াই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া প্রথম দেশ নয়। চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক মঙ্গলবার জানিয়েছেন, তিনি গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল যে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের অগ্রহণযোগ্য লঙ্ঘন করেছে, তার পরিপ্রেক্ষিতে পরামর্শের জন্য তেল আবিবে নিযুক্ত বলিভিয়ার রাষ্ট্রদূতকে ফেরত আনছেন।
এ ছাড়া কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রোও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একই ধরনের ঘোষণা দিয়েছেন। ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা ডি সিলভাও যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন