ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বুধবার মুসলিম দেশগুলোকে তেল রপ্তানিসহ ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন। ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজায় অবিরাম বোমাবর্ষণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে তিনি এ আহ্বান জানান।
ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, ৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধারা সীমান্ত পেরিয়ে হামলা চালালে এক হাজার ৪০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়। এর পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলি বোমা হামলায় সাড়ে আট হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, যাদের দুই-তৃতীয়াংশ নারী ও শিশু।
তেহরানে শিক্ষার্থীদের এক সমাবেশে খামেনি বলেন, ‘ইসলামী সরকারগুলোকে অবশ্যই দ্রুত অপরাধ বন্ধ করার জন্য জোর দিতে হবে। মুসলিম দেশগুলোর উচিত নয় ইহুদিবাদী শাসকদের (ইসরায়েল) সঙ্গে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করা।’ পাশাপাশি তিনি ‘তেল ও খাদ্য রপ্তানি বন্ধ করার’ আহ্বান জানান।
এ ছাড়াও খামেনি ব্রিটেন, ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের নাম নিয়ে ‘ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো’ পশ্চিমা সরকারগুলোর নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুসলিমবিশ্বকে ভুলে যাওয়া উচিত নয় যে কারা গাজার জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। এটা শুধু ইহুদিবাদী শাসনের বিষয় নয়।’
এ ছাড়া দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ রেজা আশতিয়ানিও ‘কিছু ইউরোপীয় দেশ, যারা ইসরায়েলকে সাহায্য করে’ উল্লেখ করে তাদের প্রতি সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছেন, ‘মুসলিমদের রাগান্বিত না করার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে’।
ইরান হামাসকে আর্থিক ও সামরিকভাবে সমর্থন করে। তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীটির হামলাকে ‘সফল’ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে। তবে হামলায় কোনোভাবে জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, ইরান ‘প্রতিরোধ গোষ্ঠীকে সমর্থন করাকে তার কর্তব্য’ হিসেবে দেখে। তবে তারা স্বাধীনভাবে কাজ করে বলেও তিনি জোর দিয়েছেন।
হোয়াইট হাউস ইরানের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীর ওপর হামলার ‘সক্রিয়ভাবে সহায়তা’ করার অভিযোগ করেছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র হামাসের তহবিল নেটওয়ার্ক এবং ইরানে সমর্থনের উৎসকে লক্ষ্য করে নতুন নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে।
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন