শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়েও আক্ষেপ ভারতের

৩৫৮ রানের টার্গেট দিয়ে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েছে ভারত। লঙ্কানদের ৫৫ রানে অল আউট করে ৩০২ রানে জিতে ৭ ম্যাচে টানা ৭ জয় তাদের। এই জয়ে ২৪ ঘণ্টা না যেতেই দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে আবার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এসেছে ভারত। প্রথম দল হিসেবে সেমফাইনাল নিশ্চিত করল তারা।

 

 

এমন বিশাল জয়ের পরও খানিক আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো রোহিত শর্মাদের। ভারত সুযোগ পেয়েছিল ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৩৫ রানের মধ্যে শ্রীলঙ্কাকে গুটিয়ে দেওয়ার। এর সঙ্গে বিশ্বকাপে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয়টা তারা পেল না মাত্র ৮ রান আগে লঙ্কানদের আটকাতে না পারায়। তবে একটি রেকর্ড ঠিকই হয়েছে, আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে হিসাবে এটিই সর্বনিম্ন রান।

 

শ্রীলঙ্কাকে ধসিয়ে দিতে মাত্র ১৮ রানে ৫ উইকেট নেন মোহাম্মদ সামি। এতে ওয়ানডে বিশ্বকাপে জহির খানকে ছাড়িয়ে ভারাতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৫ উইকেটের মালিক হন তিনি। মোহাম্মদ সিরাজ ১৬ রানে নেন ৩ উইকেট।

সামি-সিরাজদের নিখুঁত লাইন-লেন্থের সামনে লঙ্কানদের প্রথম পাঁচ ব্যাটারের তিনজনই রানের খাতা খুলতে পারেননি।

বাকি দুজন করেন ১ রান করে। সর্বমোট পাঁচ ব্যাটার ডাক মেরেছেন শ্রীলঙ্কার। সর্বোচ্চ ১৪ রান করেছেন নয়ে নামা কাসুন রাজিথা। তার ইনিংসের কারণেই অনেকগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড থেকে বেঁচে যায় শ্রীলঙ্কা।  দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ ও মহেশ থিকসানা।

এই দুজন ১২ করে রান করেন। ১৯ ওভার ৪ বলে গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।

 

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলে বোল্ড রোহিত শর্মা। এরপর ব্যাট হাতে শাসন কোহলি-গিলের। শুরুতে দেখেশুনে খেলে রানের চাকা সচল রাখেন তারা, অর্ধশতক করে ছুটছিলেন সেঞ্চুরির দিক। তবে মাদুশঙ্কা লঙ্কানদের ত্রাতা হয়ে আসেন। ১৮৯ রানের জুটি ভেঙে ফেরান গিলকে। ৯২ বলে ৯২ রানের ইনিংস ১১টি চার ও ২টি ছয় মারেন গিল। 

গিলের মতো জীবন পেয়েছিলেন কোহলিও। পরে মাদুশঙ্কার শিকার হন ৮৮ করে। ৯৪ বলের ইনিংসে কোনো ছয় না থাকেলও ১১টি চার মারেন এই ডানহাতি ব্যাটার। এই ইনিংস খেলার পথে এক পঞ্জিকাবর্ষে হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন কোহলি। এ নিয়ে ভিন্ন আট বছরে এমন অর্জন কোহলির। ভাঙেন শচীন টেন্ডুলকারের ভিন্ন সাত বছরে করা হাজার রানের রেকর্ড। সঙ্গে কোহলি ছুঁয়েছেন কুমার সাঙ্গাকারার করা ওয়ানডেতে ১১৮টি পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস। ওপরে রইলেন কেবল শচীন।

গিল-কোহলি আউট হওয়ার পর ভারতের ইনিংসের হাল ধরেন শ্রেয়াস আইয়ার। লোকেশ রাহুল ও সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে ছোট ছোট দুটি জুটিতে নিজে করেন ৫৬ বলে ৮২ রান। শেষ দিকে রবীন্দ্র জাদেজার ২৪ বলে ৩৫ রানে ৮ উইকেটে ৩৫৭ করে ভারত। লঙ্কানদের হয়ে মাদুশঙ্কার ৫ উইকেট নিয়ে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ১৮ উইকেটের মালিক হন।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন