পশ্চিমা দেশগুলো, যারা আগে জোর দিয়ে বলেছিল যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে ইউক্রেনের পরাজিত করা উচিত, তারা ধীরে ধীরে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করছে। শুক্রবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এ কথা বলেছেন।
রুশ নেতা এদিন সিভিক চেম্বারের সদস্যদের বলেছেন, ‘তারা এখন তাদের সুর পরিবর্তন করছে, বিভিন্ন কথা বলছে।’
পুতিন যুক্তি দিয়েছেন, জাতিকে অর্থনীতি, সামরিক, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাসহ সব দিক থেকে শক্তিশালী হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, এ ধরনের শক্তি প্রতিকূল শক্তিদের রাশিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা থেকে বিরত রাখে।
পুতিন বলেন, ‘তারা (ইইউ) আমাদের জ্বালানি বাদ দিয়েছে। তাতে কি? ফলাফলটি কি হলো? আমাদের জিডিপি এই বছর (৩ শতাংশ পর্যন্ত) বৃদ্ধি পাবে এবং নেতৃস্থানীয় ইউরোপীয় অর্থনীতিগুলো সঙ্কুচিত হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘তারা ভুগছে।
তারা আসলেই সমস্যায় আছে। এর মানে এই নয় যে আমাদের আক্রমনাত্মক আচরণ করা উচিত। এর অর্থ আমাদের অবশ্যই সব অর্থে সার্বভৌম হতে হবে।’
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা রাশিয়ার বিরুদ্ধে গত বছর ইউক্রেনের ওপর ‘বিনা প্ররোচনা’য় আক্রমণ শুরু করার অভিযোগ এনেছে।
পাশাপাশি মস্কোকে পরাজিত করতে ‘যত দিন লাগে’ কিয়েভকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। ওয়াশিংটন বলেছে, ইউক্রেনে তার লক্ষ্য রাশিয়ার একটি ‘কৌশলগত পরাজয়’ ঘটানো।
অন্যদিকে মস্কো বলেছে, ন্যাটো সম্প্রসারণের বিষয়ে রাশিয়ার উদ্বেগ এবং ২০১৪ সালের সশস্ত্র অভ্যুত্থানের পর রুশ বক্তাদের বিরুদ্ধে কিয়েভের বৈষম্যমূলক নীতির সমাধান করতে পশ্চিমাদের অস্বীকৃতির কারণে এই শত্রুতা ঘটেছে। রাশিয়ার মতে, চলমান সংঘাতের প্রথম সপ্তাহগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের সরকারকে যুদ্ধবিরতিতে বাধা দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র তা না করলে একটি নিরপেক্ষ জাতিতে পরিণত হতে পারত।
এদিকে কিয়েভ ঘোষণা করেছে, ক্রিমিয়াসহ তাদের নিজস্ব হিসেবে দাবি করা সব অঞ্চল থেকে রাশিয়াকে বের করে দেওয়াই তাদের একমাত্র প্রত্যাশা। তবে এই বছরের গ্রীষ্মকালীন পাল্টা আক্রমণের সময় তারা ফ্রন্টলাইনে কোনো উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখেনি।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু এই সপ্তাহের শুরুতে যুদ্ধক্ষেত্রের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে বলেছেন, ‘নতুন ধরণের ন্যাটো অস্ত্র সরবরাহ সত্ত্বেও কিয়েভ সরকার হেরে যাচ্ছে।’
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন