মার্কিন সিনেটে হট্টগোল, ব্লিনকেনকে থামিয়ে যুদ্ধবিরতির দাবি

যুক্তরাষ্ট্রের সিনেটের অধিবেশনে আইনপ্রণেতারা ইসরায়েলে জরুরি সহায়তা তহবিল পাঠানোর বিষয়ে সমর্থন দিয়েছেন। এ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বক্তব্য শুরু করলে প্রতিবাদ জানান বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারী। ইসরায়েলে সহায়তা পাঠানোর পরিবর্তে তারা গাজায় দ্রুত যুদ্ধবিরতির দাবি জানান। 

অধিবেশনটি অনুষ্ঠিত হয় গত মঙ্গলবার।

এতে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন হোয়াইট হাউসের ১০ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের জাতীয় নিরাপত্তা তহবিলের বিষয়ে কথা বলেন। এর মধ্যে হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তার জন্য ১৪ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার আছে। এ নিয়ে ব্লিনকেনের বক্তব্যের সময়ই বিক্ষোভকারীরা হট্টগোল শুরু করেন। 

 

বিবিসিতে প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, জাতীয় নিরাপত্তা তহবিল নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন ব্লিনকেন।

তখন ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভকারীরা বারবার চিৎকার করে বলছেন, ‘গাজায় এখনই যুদ্ধবিরতি দাও।’ এ সময় ব্লিনকেন বক্তব্য দেওয়া বন্ধ রাখেন এবং আইনপ্রণেতারা বেশ কয়েকবার শুনানি স্থগিত করতে বাধ্য হন।

 

অ্যান্টনি ব্লিনকেন

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। ছবি : সংগৃহীত

ক্যাপিটল পুলিশ দ্রুত বিক্ষোভকারীদের কক্ষ থেকে বের করে দেয়।

পুলিশ জানিয়েছে, সিনেট অফিস ভবনে অবৈধভাবে বিক্ষোভ করার অভিযোগে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজন যুদ্ধবিরোধীগোষ্ঠী কোডপিঙ্কের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কোডপিঙ্কের কর্মীরা ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

 

অধিবেশনে অনেক বিক্ষোভকারী গোলাপি রঙের পোশাক পরেছিলেন। ব্লিনকেনের বক্তব্যের সময় তাঁরা ‘গাজা অবরোধ বন্ধ করুন’ লেখা ব্যানার বহন করেন।

কেউ কেউ রক্তের প্রতীক হিসেবে হাতে লাল রং মাখিয়েছিলেন। তাঁরা ইসরায়েলে তহবিল পাঠানো বন্ধ করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান। কোডপিঙ্ক নিশ্চিত করেছে যে ওই দিন তাদের কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

 

বিক্ষোভকারীদের বের করে দেওয়া হলে বক্তব্য শুরু করেন ব্লিনকেন। বক্তব্যের শেষে বিক্ষোভকারীদের ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই বেসামরিক জীবন রক্ষায় অঙ্গীকারবদ্ধ। সবাই এর অবসান দেখতে বদ্ধপরিকর। তবে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্রদের পাশে দাঁড়ানোটাও জরুরি।’

ইসরায়েলকে সমর্থন করার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। কংগ্রেসনাল রিসার্চ সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে দেশটিকে ১৫ হাজার ৮০০ কোটি ডলার সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

জিবিডেস্ক //

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন