বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা দ্বিতীয় দফা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের প্রথম দিন আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পারাইরচক জলকরকান্দি এলাকায় খাদ্যপণ্যবাহী পিকআপ ভ্যানে আগুন দিয়েছে পিকেটাররা।
এ সময় পুলিশ ধাওয়া করে এক পিকেটারকে আটক করেছে বলে জানিয়েছেন মহানগর পুলিশের মোগলাবাজার থানার ওসি এসএম মাইন উদ্দিন। তিনি জানান, পিকআপ ভ্যানে পিকেটাররা ইট-ঢিল ছুঁড়ে গতিরোধ করে। পরে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করলে গাড়িতে আগুন ধরে যায়।
এছাড়া সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের লালাবাজার এলাকায় ইট ছড়িয়ে পিকেটিং করে দক্ষিণ সুরমা বিএনপি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের কিছু নেতাকর্মী। সকালে নাজির বাজার এলাকা থেকে তাদের তিনকর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেছে বিএনপি।
তবে নগর পুলিশের দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দোহা জানিয়েছেন, আটকের বিষয়টি তিনি জানেন না। সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের মানিপুর ও কাজলশাহ এলাকায় গাছ ফেলে ও শুকনো ডালে আগুন ধরিয়ে পিকেটিং করা হয়। এছাড়া সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের খাদিমনগর এলাকায় পিকেটাররা গাড়ি ভাঙচুরকালে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে।
এদিকে থেকে সিলেটে দুরপাল্লার বাস প্রবেশ করতে দেখা গেছে। বিচ্ছিন্নভাবে এসব বাস সিলেটে প্রবেশ করছে। তবে সিলেট থেকে ঢাকায় কোনো বাস ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। এছাড়া বিভিন্ন সড়কে হালকা যানবাহন চলাচল করছে। কোথায় বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা যায়নি। তবে তারা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করছে।
বিভিন্ন রাস্তার মোড় ও সড়কে বিজিবি ও পুলিশের অবস্থানসহ তাদের টহল দিতে দেখা গেছে। র্যাব-৯-এর সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ছাড়াও অন্যান্য সড়কের বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের অবস্থান ও টহল দিতে দেখা গেছে। তাদের সতর্ক অবস্থার কারণে অবরোধকারীরা রাস্তায় নামার সুযোগ পাচ্ছে না। ফলে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু সড়কে ঝটিকা মিছিল ও পিকেটিং করে তারা সটকে পড়ছেন।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ জানিয়েছেন, যে কোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ প্রস্তুত। পণ্যবাহী ট্রাকে দেওয়ার সময় একজনকে আটক করা হয়েছে। জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার সম্রাট তালুকদার জানিয়েছেন, প্রত্যেক থানাকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তারা উপজেলার বিভিন্ন সড়কে টহল দিচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন