দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এলে ডোনাল্ড ট্রাম্প যা করবেন

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে প্রচারণা চালাচ্ছেন। রিপাবলিকান পার্টি থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। দলীয় প্রার্থিতা নিশ্চিত হলে তিনিই আগামী বছরের নভেম্বরে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে নামবেন।

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা বাইডেনের কাছে ট্রাম্প ধরাশায়ী হয়েছিলেন।

 

এবার আর তিনি চেষ্টার ত্রুটি রাখতে চাইছেন না। ট্রাম্প তাঁর ক্ষমতার প্রথম মেয়াদে করা ভুলগুলো শুধরে নতুন করে এগিয়ে যেতে চাইছেন। এ জন্য নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে তুমুল ব্যস্ততার অন্তরালে ট্রাম্প ও তাঁর দল দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় গেলে কী কী করবেন, সে পরিকল্পনাও সাজিয়ে ফেলছেন।
ট্রাম্পের প্রচারণা দলের ওয়েবসাইট, তাঁর বিভিন্ন নির্বাচনী জনসভার বক্তব্য এবং ঘনিষ্ঠ পরিসরের কর্মীদের কথাবার্তা শুনলে দ্বিতীয় মেয়াদের কর্মসূচিগুলোর কিছুটা আঁচ পাওয়া যায়।

 

আগামী নির্বাচনে জয়ী হলে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হবেন। সেই সংখ্যাটিকে ইঙ্গিত করে ট্রাম্প ক্ষমতায় গেলে যেসব কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবেন, তার পরিকল্পনাকে ‘এজেন্ডা৪৭’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ট্রাম্পের ক্ষমতার প্রথম মেয়াদে তাঁর প্রচারণাকর্মীদের একজন ছিলেন মার্ক লোটার। এখনো তিনি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে আছেন।

 

লোটার ও অন্য কর্মীরা মনে করেন, প্রথম মেয়াদের প্রস্তুতিতে যে ঘাটতি ছিল, এবার তা রাখা যাবে না। তবে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য ট্রাম্পের কিছু কিছু পরিকল্পনা হুজুগে মনে হয়; যেমন—তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় গেলে উড়ন্ত গাড়ি নির্মাণে সরকারি বিনিয়োগ করবেন। আছে কিছু বিতর্কিত পরিকল্পনাও; যেমন—গৃহহীন লোকদের শহরগুলো থেকে দূরে স্থাপিত তাঁবুর শিবিরে স্থানান্তরিত করা হবে। সমস্যা সমাধানের আগ পর্যন্ত তাদের ওই শিবিরেই থাকতে হবে। ট্রাম্পের কিছু পরিকল্পনা সরাসরি সাংস্কৃতিক সংঘাতমূলক; যেমন—তিনি চান অঙ্গরাজ্যের স্কুল শিক্ষকদের ‘দেশপ্রেমমূলক মূল্যবোধ’ গ্রহণ করতে হবে।

 

তিনি বাণিজ্যক্ষেত্রে আরো সুরক্ষাবাদী নীতি নিতে চান। চান সব বিদেশি পণ্যে শুল্ক আরোপ করতে।
অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্প দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে আসা অনথিভুক্ত অভিবাসীদের আবেদনের প্রক্রিয়ার সময়কালে মেক্সিকোতে থাকার নীতি আবার চালু করতে চান। তিনি অনথিভুক্ত অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণকারী সন্তানদের স্বয়ংক্রিয়ভাবে মার্কিন নাগরিকত্ব পাওয়ার নীতিও বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন। ট্রাম্প বৈদেশিক সাহায্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া শত শত কোটি ডলার কমানোর অঙ্গীকার করেছেন। গণমাধ্যমের বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুসারে, ট্রাম্প এমনকি ন্যাটো জোট থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিতে চান। অন্তত জোটটিতে মার্কিন ভূমিকা হ্রাস করার পক্ষে তিনি। যুক্তরাষ্ট্র পশ্চিমা জোটগুলো থেকে সরে দাঁড়ালে বিশ্বে তার প্রতিপক্ষ রাশিয়ার দাপট বৃদ্ধির আশঙ্কা নিয়েও ভাবিত নন ট্রাম্প।

ট্রাম্পের হোয়াইট হাউসের ট্র্যানজিশন দলের সদস্য মার্ক লোটারের মতে, ২০২৪ সালে রিপাবলিকান নেতার এজেন্ডাগুলোর মধ্যে শীর্ষে থাকবে জ্বালানি ইস্যু। তিনি জ্বালানি সরবরাহ বাড়িয়ে মানুষের গৃহস্থালি ব্যয় কমাতে চান। জ্বালানির উচ্চমূল্য যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার একটি প্রধান কারণ। তাই সেভাবেই নিজের পরিকল্পনা সাজাতে চান ডোনাল্ড ট্রাম্প। সূত্র : বিবিসি

মন্তব্যসমূহ (০)


ব্রেকিং নিউজ

লগইন করুন


Remember me Lost your password?

Don't have account. Register

Lost Password


মন্তব্য করতে নিবন্ধন করুন