রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা। সাক্ষাতে নির্বাচন কমিশনাররা নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবগত করেছেন। আর রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক রীতি-নীতি ও বিধি-বিধান অনুসরণ করে কমিশনকে সাহসিকতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘আজকে আমাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আসন্ন নির্বাচন ঘিরে আমাদের গৃহীত প্রস্তুতির বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করা।
আমরা রাষ্ট্রপতিকে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত করেছি। উনি শুনেছেন এবং সন্তুষ্ট হয়েছেন।’
দুপুরে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সিইসি। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন যে অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে যেকোনো ধরনের সহযোগিতা করতে তিনি সদা প্রস্তুত আছেন।
তিনি বলেছেন, গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক যে ধারাবাহিকতা রয়েছে, এটাকে যেকোনো মূল্যে অব্যাহত রাখতে হবে।’
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় সিইসি ছাড়াও চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন। সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি আশা ব্যক্ত করেছেন যে আসন্ন নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। সুশৃঙ্খলভাবে হবে।
এ ব্যাপারে প্রয়োজন হলে উনি সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। আমরাও তাঁকে জানিয়েছি যে তাঁর সার্বিক সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা জানিয়েছি, আমাদের ওপর সাংবিধানিকভাবে যে দায়িত্ব আরোপিত হয়েছে সেখানে যে বাধ্যবাধকতা, আমরা সে অনুযায়ী নির্ধারিত সময় ও পদ্ধতিতে নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর।’
বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসির কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়। একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচনের জন্য প্রয়োজন নির্বাহী বিভাগসহ জনগণের সক্রিয় সহযোগিতা।
’ এ জন্য রাষ্ট্রপ্রধান রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসারও আহ্বান জানিয়েছেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতি বলেছেন, ‘দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে।’
জিবিডেস্ক //
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন